সকল মেনু

ক্ষতিকর কোন চুক্তি দেশের জন্য করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক: দেশের ক্ষতির কারণ হবে, এমন কোনও চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কোনও চুক্তি হলে তা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেই করা হবে। একটি স্বার্থান্বেষী মহল ১৯৭৪ সালে ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত ২৫ বছরের সমঝোতা চুক্তিকে গোলামির চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। কিন্তু এই চুক্তি থেকে সীমান্ত সমস্যা সমাধানসহ বাংলাদেশেরই অর্জন বেশি।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) বিভিন্ন পদমর্যাদার ২৫ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটির প্লটের বরাদ্দপত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতির জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশের পঁচাত্তর পরবর্তী সরকারগুলোকে দায়ী করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া কখনও ভারতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। বরং তারা সীমান্তে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে উদাসীন ছিলেন।’
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট রেখেই সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে বাংলাদেশ। একইভাবে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা সমস্যারও সমাধান করেছে।’


সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে গৃহীত অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে সমালোচনা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশই পৃথিবীতে একমাত্র দেশ যারা জঙ্গিদের অ্যাকশনের পূর্বেই বহু জঙ্গি আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে সমর্থ হয়েছে। জঙ্গিদের দমনে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়।’ দেশের জনসংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ বাহিনীর সদস্য আরও বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
পুলিশ বাহিনীর সদস্য ও তাদের স্বজনদের কল্যাণে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম ২০০০ সালে পুলিশ স্টাফ কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। অন্যান্য সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদেরও আবাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। পুলিশ সদস্যদের জন্য এ ধরনের আবাসন সুবিধা জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও সম্প্রসারণ করা হবে।’
এর আগে পুলিশের আইজিপি মো. শহীদুল হক শত প্রতিকুলতা সত্ত্বেও পুলিশ হাউজিং সোসাইটিকে বাস্তব রূপ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top