সকল মেনু

একটি পরিবার উদ্ধার জঙ্গি আস্তানা থেকে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের প্রেমতলায় জঙ্গি আস্তানা রয়েছে যে বাড়িতে সেখান থেকে একটি পরিবারের ছয় সদস্যকে উদ্ধার করা হয়েছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে নারী ও শিশু আছে কিনা সেব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে নিরাপত্তার কারণে গণমাধ্যমকর্মী ও সাধারণ লোকজনকে ওই জঙ্গি আস্তানার ৩০০ গজেরও বেশি দূরে থাকতে বলা হয়েছে। তবে সকাল ৭টার পর ওই বাড়ি থেকে গোলাগুলি বা বিস্ফোরণের আর কোনও শব্দ পাওয়া যায়নি।

এর আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের প্রেমতলায় জঙ্গি আস্তানায় ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সোয়াত টিমের নেতৃত্বে শুরু হওয়া অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। তার মধ্যে একজন নারী। আর নিহতদের মধ্যে এক জঙ্গি আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল।  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের এডিসি ছানোয়ার হোসেন।

বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে ছায়ানীড় বাড়িতে জঙ্গিদের আস্তানায় সোয়াতের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। অভিযানে তাদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছে চট্টগ্রামের সোয়াত, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।

অভিযান শুরুর পর সোয়াত সদস্যদের লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় সোয়াতের দুই সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সোয়াতের একজন সদস্য জানিয়েছেন, জঙ্গিরা শেষ মুহূর্তে গ্রেনেড নিয়ে সোয়াতের সদস্যদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিকট শব্দে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়। গ্রেনেডগুলি অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল।

ঘটনাস্থল থেক জানা যায়, ৬টার দিকে অবস্থান নিয়ে বাড়িটির দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করেন অভিযানে অংশ নেওয়া সোয়াত সদস্যরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই গুলি-পাল্টাগুলির শব্দ শোনা যায়।  ব্যাপক গোলাগুলির মধ্যেই বিকট শব্দে একটা বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর সাড়ে ৬টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিন সদস্যকে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

সীতাকুণ্ডের প্রেমতলার ‘ছায়ানীড়’ নামের দোতলা বাড়িটি  বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুর ৩টা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘিরে রাখে। পুলিশ জানায়, অবরুদ্ধ হয়ে পড়া তিন জঙ্গি নব্য জেএমবির সদস্য। ঘটনাস্থলে র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সিএমপির সোয়াত টিম ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট উপস্থিত হয়। রাত পৌনে একটার দিকে তিনটি গাড়িতে করে ঢাকা থেকে রওনা দেওয়া সোয়াত টিমের সদস্যরা পৌঁছান ঘটনাস্থলে। এরপরই পুলিশ আশপাশের সবগুলো বাড়ির বাতি নিভিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এছাড়া পুরো এলাকাটি সিল করে দেওয়া হয়।

অবরুদ্ধ আস্তানায় জঙ্গিরা কয়েকটি পরিবারকে জিম্মি করে রাখে বলে জানা যায়। তবে ঠিক কতটি পরিবারকে জিম্মি করা হয়েছে তা সম্পর্কে সুনিশ্চিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি পরিবারের কথা বলা হলেও স্থানীয় সূত্রে ৮টি পরিবারের কথা জানা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top