সকল মেনু

অনিদ্রা দূর করার ১৭টি কার্যকর উপায়!

insomnia_51963হটনিউজ২৪বিডি.কম : এমনটা আমাদের অনেকেরই হয়। হয়তো প্রথম দিকে সারারাত প্রিয়জনের সাথে ফোনে কথা বলা, রাত জেগে পড়াশোনা করা, গেমস খেলা বা প্রয়োজনীয় অন্য কোন কাজে একটা বিশাল সময় জুড়ে রাতে ঘুমানো হতো না। তার বদলে সকালে বেশ বেলা করে ঘুমানো। কিন্তু একটা সময় আবিস্কার করলেন যে আপনি চাইলেও আর রাতে ঘুমাতে পারছেন না! ফলে চোখের নিচে কালি, দিনভর ক্লান্তি আর বাধ্য হতে রাত জেগে থাকা। আপনার রাত জাগার অভ্যাসটি কিন্তু এভাবেই পরিণত হতে পারে একটি রোগে। যার নাম ইনসমনিয়া। তবে একটু চেষ্টা করলে আপনি মুক্তি পেতে পারেন এ থেকে। রইলো কিছু কাজের টিপসঃ

১) ঘুমানোর আগে ব্যায়ামঃ
ঘুমাতে যাবার আগে হাল্কা কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। এটা আপনার শরীরকে ক্লান্ত করবে। এবং পরিশ্রমের ফলে আপনার শরীরে প্রয়োজন হবে বিশ্রামের। তাই ঘুমানোটা সহজ হবে।

২) গরম দুধঃ
রাতে ঘুমাবার আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেয়ে নিন। এটি আপনার শরীরকে রিলাক্স করবে ও ঘুমাতে সহায়তা করবে।

৩) দুশ্চিন্তা নয়ঃ
ঘুমাবার সময় রাজ্যের দুশ্চিন্তা নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না। ব্যাপারটা সহজ নয়। তবু নিজেকে বলুন যে আপনি আগামীকাল ঘুম থেকে উঠে বিষয়গুলো নিয়ে ভাববেন। ঘুমাবার সময় ভালো কিছু, ইতিবাচক কিছু নিয়ে চিন্তা ভাবনা করুন। নয়তো আপনার মস্তিস্ক উত্তেজিত থাকবে বলে আপনি ঘুমোতে পারবেন না।

৪) ভালো কিছু ভাবুনঃ
ইতিবাচক কিছু ভাবুন। ভাবুন কোনো স্বপ্ন নিয়ে, ভাবুন প্রিয় মানুষ বা বন্ধুটিকে নিয়ে। গঠনমূলক আর ইতিবাচক ভাবনা আপনাকে ভালোভাবে আরামে ঘুমাতে সাহায্য করবে।

৫) উষ্ণ পানিতে গোসলঃ
খুব ভালো হয় ঘুমাতে যাবার আগে উষ্ণ পানিতে গোসল করে নিতে পারলে। গোসলের পানিতে দিতে পারেন খানিকটা লেবুর রস অথবা গোলাপজল। অনেক স্নিগ্ধ লাগবে।

৬) ভোরে ঘুম থেকে ওঠাঃ
যারা ইনসমনিয়ায় ভোগেন, তারা সাধারনত সারা রাত ঘুমাতে পারেন না বলে সকালে অনেক দেরী করে ওঠেন। কখনো উঠতে উঠতে দুপুরও হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন সকাল সকাল ওঠার। এবং উঠে আর না ঘুমাবার। সকালে উঠেই বাসা থেকে বেরিয়ে হাঁটতে যেতে পারেন। ঘুম কেটে যাবে। কয়েকটা দিন কষ্ট হবে, কিন্তু আস্তে আস্তে মানিয়ে নিবে শরীর।

৭) ধীরলয়ের সঙ্গীতঃ
ঘুমাবার আগে ধীরলয়ের গান শুনুন। এটা আপনার মনে প্রশান্তি আনবে আর ঘুমোতে সাহায্য করবে।

৮) ঘুমানোর নির্ধারিত সময়ঃ
একটা রুটিন মেনে চলুন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ম করে ঘুমাতে যান, নিয়ম করে উঠুন। কিছুদিন এটা করলে দেখবেন, আপনার শরীর এই নতুন অভ্যাসের সাথে মানিয়ে নিয়েছে।

৯) চা/ কফি নয়ঃ
এ দুটো কিছুদিন বন্ধ রাখুন। ক্যাফেইন আপনার ঘুমকে কমিয়ে দেবার জন্যে দায়ী। এর বদলে পান করুন প্রচুর ফলের রস।

১০) আরামদায়ক বিছানাঃ
খেয়াল রাখুন আপনার বিছানাটা যাতে বেশী শক্ত, অতি নরম বা উঁচু নিচু না হয়। বিছানা আরামদায়ক হলে ঘুম আসবে এমনিতেই।

১১) ঘরের ভালো আবহাওয়াঃ
ঘরের আবহাওয়ার দিকে খেয়াল রাখুন। যাতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস খেলে। জানালার দিকে মুখ করে ঘুমান। যাতে সকালে সূর্যের আলোয় ঘুম ভেঙ্গে যায়।

১২) বিছানা শুধু ঘুমাবার জন্যেইঃ
চেষ্টা করুন বিছানা কেবল ঘুমাবার কাজেই ব্যবহার করার। পড়াশোনা, অফিসের কাজ, নেট ব্রাউজিং বা আড্ডাবাজি করুন টেবিলে বা মেঝেতে। ঘুমাবার আগে যখন দেখবেন টান টান বিছানা, পরিস্কার চাদর, এটা আপনাকে ঘুমাতে উৎসাহ জোগাবে।

১৩) ম্যাসাজ/স্পাঃ
কিছুদিন বডি ম্যাসাজ বা স্পা নিতে পারেন। এটা আপনাকে রিলাক্স করবে, স্ট্রেস কমাবে।

১৪) ঘড়ির শব্দ নয়ঃ
দেয়াল বা টেবিল ঘড়ির কাঁটা যদি খুব শব্দ করে তবে কিছুদিনের জন্যে রাতে সেটা বন্ধ করে রাখুন। ভালো ঘুম হবে।

১৫) অল্প সময়ের ঘুম নয়ঃক্লাস, অফিস বা বাইরে থেকে ফিরে দুপুরে, বিকেলে বা সন্ধ্যায় ন্যাপ নেয়া বা অল্প সময়ের ঘুম এর অভ্যাস থাকলে তা দয়া করে বাদ দিন। এটা অনিদ্রা রোগের জন্য ভয়ানক ভাবে দায়ী।

১৬) ঘুমাবার আগে টিভি/ ফোন নয়ঃ
ঘুমাবার আগে টিভি, মুভি, ফোনে কথা বলা বা অন্য এমন কিছু করতে যাবেন না যা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনি ঘুমাতে আগ্রহ পাবেন না।

১৭) ঘুমাবার আগে হাঁটুনঃ
রাতে ঘুমাবার আগে কিছুক্ষণ হেঁটে আসতে পারেন। এতে ঘুম ভালো হবে। উপরের টিপসগুলো অনুসরন করে সহজেই আপনি মুক্তি পেতে পারেন ইনসমনিয়ার কবল থেকে। তাতেও যদি কাজ না হয় তাহলে দেরী না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ঠিকমত ঘুমান, সুস্থ থাকুন!

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top