সকল মেনু

টাঙ্গাইলের আকাশে ড্রোন ওড়াল পাঁচ কিশোর

5fe5abda18080d9f0798767dc34317d5-5856864c2427cহটনিউজ২৪বিডি.কম : টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে দ্বাদশ শ্রেণির পাঁচ ছাত্র মিলে তৈরি করেছে ড্রোন। সবাই ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। শুক্রবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তাদের প্রতিষ্ঠানে ড্রোনটি পরীক্ষামূলকভাবে ওড়ানো হয়। মনিরুজ্জামান তালুকদার হৃদয়, সজীব, সুমন রেজা, তৌকির ও ওমর ফারুক নামে মেধাবী পাঁচ ছাত্রের দীর্ঘদিনের চেষ্টার ফসল এটি।

অনেকদিন ধরেই পাঁচ বন্ধু মিলে একটি ড্রোন বানানোর চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। শুক্রবার সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তাদের তৈরি ছোট ড্রোনটি নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠের আকাশে ওড়ানোর মধ্য দিয়ে তাদের চেষ্টা সফল হয়। প্রায় ১ কিলোগ্রাম ভরের এই ড্রোনটি তৈরি করতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে এর কিশোর উদ্ভাবকরা। জানা যায় প্রায় ১ কেজি ২০০ গ্রাম ভরের মালামাল বহন করতে সক্ষম এই ড্রোন। প্রাথমিকভাবে দেড় কিলোমিটার এলাকায় রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তারা এটিকে আরও বেশি প্রযুক্তিনির্ভর, আধুনিক ও জনকল্যাণময় করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

উদ্ভাবকদের একজন মনিরুজ্জামান হৃদয় হটনিউজ২৪বিডিকে বলে, ‘আমাদের তৈরি এই ড্রোন পানিতে তলিয়ে যাওয়া কোনও ব্যক্তিকে উদ্ধারে কাজে লাগানো যাবে। যেমন সাঁতার না জানা কোনও ব্যক্তি যদি নদীতে পড়ে যায় তাহলে তাকে বাঁচানোর জন্য ড্রোনটির মাধ্যমে এক কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত কোনও ব্যক্তির কাছে লাইফ জ্যাকেট পাঠানো যাবে। গত নভেম্বর মাসে ড্রোনটির নির্মাণকাজ শুরু করি। এমাসেই এটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এখন চলছে এটির উন্নয়নকাজ। ড্রোনটির সঙ্গে ক্যামেরা স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। যদি প্রতিষ্ঠান বা সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সহযোগিতা করা হয় তাহলে আরও উন্নত মানের ড্রোন তৈরি করা সম্ভব।

কিশোর উদ্ভাবক সুমন রেজা বলেন, ‘আমাদের শ্রেণিশিক্ষিকা কামরুন্নাহার ড্রোন তৈরি করার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের উৎসাহ প্রদানসহ সবদিক দিয়ে সহযোগিতা করছেন”।

এর আগে তারা এয়ারপ্লেন, কলিং কারসহ আরও কয়েকটি বিদ্যুচ্চালিত যন্ত্র তৈরি করেছেন বলে জানান সুমন রেজা।

ড্রোন তৈরি সম্পর্কে ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্ণেল সাহাবউদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, ‘ছাত্র ছাত্রীদের যে কোনও ধরনের বিজ্ঞানমনস্ক গবেষণার কাজকে আমরা উৎসাহিত করি। আমাদের শিক্ষার্থীদের তৈরি ড্রোনটি বিজয় দিবসের দিনে আকাশে ওড়ানোর জন্য আমরা বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করি । কিশোর বিজ্ঞানীদের এ আবিষ্কার আমাদের জন্য গর্বের। আশা করি ভবিষ্যতে তারা আরও উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন আবিষ্কার করবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top