সকল মেনু

আলেপ্পো ফাঁকা করতে সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় বিদ্রোহীরা

a5a9d42eff17039bf149be3e7a603343-5850b8bada8c9হটনিউজ২৪বিডি.কম : সিরিয়ার আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর অনিবার্যভাবে এলাকাটি থেকে বিদ্রোহী ও বেসামরিকদের সরে যাওয়া নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে দুই পক্ষ। সিরিয়ার সামরিক সূত্র এবং বিদ্রোহী পক্ষের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা খবরটি নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) আলেপ্পোর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয় সরকারি বাহিনী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘের নিয়োজিত রাশিয়ার দূত ভিটালি চারকিন ঘোষণা দেন যে পূর্ব আলেপ্পোতে সকল সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রয়েছে এবং সরকার ওই এলাকার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে নিজেদের সর্বশেষ ঘাঁটিতে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জন্য বিদ্রোহীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে কিনা এবং ওই অবস্থায় এলাকায় আটকে থাকা হাজারো বেসামরিকের পরিণতি কী হবে তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। এই প্রেক্ষাপটে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর একটি নুরেদ্দিন আল জিনকির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলা হয়, ‘আলেপ্পোর বাসিন্দা, বেসামরিক নাগরিক এবং যোদ্ধাদেরকে তাদের হালকা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পূর্ব আলেপ্পো থেকে সরে যাওয়ার জন্য একটি সমঝোতা হয়েছে।’

রাশিয়া ও তুরস্কের পৃষ্ঠপোষকতায় সমঝোতাটি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ সমঝোতা চুক্তি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর হবে’।
এদিকে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিরিয়ার এক সেনা সূত্রও এ সমঝোতার খবর নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার ভোর ৫টা থেকে এলাকা ফাঁকা করার চুক্তিটি কার্যকর শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

সূত্রের বরাতে আল জাজিরা জানায়, বিদ্রোহীরা পশ্চিমাঞ্চলীয় আলেপ্পোর দিকে যাবেন। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুসেইন মুফতুগলু বলেছেন, আলেপ্পো থেকে শুরুতে বেসামরিকদের সরিয়ে নেওয়া হবে, এরপর বিদ্রোহীদের সরানো হবে। তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ইদলিবের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন। তাদেরকে তুরস্কে নিয়ে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই।’

মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগে আগে সমঝোতাটি হয়। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর জাতিসংঘের সিরিয়াবিষয়ক দূত স্টেফান মিস্তুরাকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আলেপ্পোর পতনের মধ্য দিয়ে শান্তি প্রক্রিয়ার সমাপ্তি ঘটছে কিনা। জবাবে মিস্তুরা বলেন, ‘বিপরীতটাই হওয়া উচিত। শান্তি প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করতে একে একটি বড় সুযোগ বলে মনে করছি আমরা।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top