সকল মেনু

পাকিস্তানের পতাকা পুনঃস্থাপন করতেই জিয়ার কবর সরানোর ষড়যন্ত্র: মির্জা ফখরুল

d09b6bf5881ef4d318fa84319cf33a7c-58480c7a7f5f9হটনিউজ২৪বিডি.কম : সরকার পাকিস্তানের পতাকা পুনঃস্থাপন করতেই জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সরকার পাকিস্তানের পতাকা রক্ষা করতেই নকশা অনুযায়ী অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদ করতে চায় কিনা, এ প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।’ বুধবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিসিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের একটি মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘স্বৈরাচার পতন দিবস ও গণতন্ত্র মুক্ত দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘লুই আই কান কখন, কিভাবে কোন পরিস্থিতিতে নকশা করেছেন, তা আমাদের জানতে হবে। তৎকালীন সবচেয়ে বড় ডিক্টেটর আইয়ুব খানের ঢাকায় পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাজধানী করতে চেয়েছিল। তিনি ফার্মগেটের এই জায়গাটিকে বেছে নিয়েছিলেন। আইয়ুব নগর নাম দিয়ে সংসদ ভবন, কেন্দ্রীয় সরকার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিলেন। পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে বিশ্ববিখ্যাত স্থপতি লুই আই কানকে বেছে নেওয়া হয়। পরে পাকিস্তানের পতাকার ওপর ভিত্তি করে তিনি এই নকশা করেন।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘শহীদ জিয়ার মাজার বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিতে চান? গণভবন, বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টার, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এই নকশায় আছে কিনা জানি না। এসব স্থাপনাও তুলে দিতে হবে। প্রয়োজনে তাই হবে।’

সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের বলতে হবে, লুই আই কানের নকশা বাস্তবায়ন করতে চান এবং পাকিস্তানের পতাকাকে পুনঃস্থাপন করতে চান। এ জন্য শুধু কথা বললেই হবে না, কী করতে চান, পেছনটা দেখুন, সেটা জানুন।’

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমরা কতটা অমানবিক হলে শিশুরা আশ্রয়ের জন্য প্রাণ বাঁচাতে আসলে আমরা তাদের ফিরিয়ে দেই। সম্পূর্ণ মানবিক কারণে সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সাময়িক সময়ের জন্য আশ্রয় দিন এবং তাদের সসম্মানে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমার ও বিশ্ববাসীর কাছে চাপ দিন।’

নির্বাচন কমিশন নিয়ে খালেদা জিয়ার প্রস্তাবের প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘অতীতে আপনি সার্চ কমিটি গঠন করেছিলেন কিন্তু সেই কমিটি নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আমরা সবার অংশগ্রহণে ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন চাই।’ সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দাম্ভিকতা পরিহার করে সহনশীলতার মাধ্যমে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করুন। অন্যথায় ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না।’

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুইয়া হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top