সকল মেনু

থেমে গেল কার্লটন কিটোর গিটার

carlton-guiterabnews24_47677বিনোদন ॥ হটনিউজ২৪বিডি.কম : সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে, মিউজিক লাভার্সদের থেকে একটাই পোস্ট পাওয়া যাবে। আচ্ছা, খবরটা কি সত্যি, শুনলাম কার্লটন কিটো নাকি আর নেই! তিলোত্তমার কিংবদন্তি বিবপ জ্যাজ গিটারিস্টের মৃত্যুটা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না।

গতকাল সোমবার প্রয়াত হলেন কিটো। বার্ধক্যজনিত রোগে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

কিটোর প্রয়ানে শেষ হয়ে গেল একটা অধ্যায়। বলা যেতে পারে বিশ্বের সেরা জ্যাজ মিউজিশিয়ানদের অন্যতম নক্ষত্র খসে গেল। টুইটারেও #RIPCarltonKitto বলে ট্রেন্ডিং। এটাই স্বাভাবিক। এই পর্যায়েরই মিউজিশিয়ান ছিলেন তিনি।

সনি রোলিনস, চিকো ফ্রিম্যান, পাম ক্রেন, ব্রেজ গনজালভেজের মতো কিংবদন্তি জ্যাজ প্লেয়ারদের সঙ্গেই বাজিয়েছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রীটের এই বাসিন্দা। লুইজ ব্যাংক ও পণ্ডিত রবিশঙ্করের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।

অনেকেই বলেন উপমহাদেশে জ্যাজ মিউজিকের শেষ কথা ছিলেন কার্লটন। এই বিষয়ে তার পাণ্ডিত্যের ধারেকাছে আসবেন না অনেকেই। ক্যালকাটা স্কুল অফ মিউজিকের প্রশিক্ষকও ছিলেন তিনি। জ্যাজ আর ক্লাসিকাল গিটার শেখাতেন তিনি।

বেঙ্গালুরুতে জন্ম নেওয়া কিটো কর্মজীবনের শুরু করেছিলেন ভারতীয় রেলে। ষাটের দশকে চেন্নাইতে চলে আসেন তিনি। এরপর ১৯৭৩-এ কলকাতায় পা রাখেন কার্লটন। সত্তরের দশকে কলকাতা কাঁপিয়েছেন তিনি৷ম্যুলা রুঁজ থেকে মোকাম্বো, চৌরঙ্গী বার থেকে ট্রিংকাস, ব্লু ফক্স হয়ে সামপ্লেস এলস মাতিয়েছেন সুরের মূর্ছনায়। ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত কেরিয়ারের মধ্য গগণে বিরাজমান ছিলেন কার্লটন। শেষ ১৫ বছরে আট হাজারের বেশি জিঙ্গল বানান কার্লটন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top