সকল মেনু

কথিত মহাসচিব রবিউলের নির্দেশে মাংস ব্যবসায়ীরা গবাদি পশু ব্যবসায়ীদের বকেয়া নিয়ে তালবাহানা করছে

durnitiস্টাফ রিপাের্টার ॥ হটনিউজ২৪বিডি.কম : অতি সম্প্রতি রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ গবাদি পশু ব্যবসায়ী সমিতির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ গবাদি পশু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মোঃ মজিবর রহমান এর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রবন্ধ পাঠ করেন হাজী মোঃ মজিবর রহমান। এসময় বাংলাদেশ গবাদি পশু ব্যবসায়ী সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির কথিত মহাসচিব রবিউল আলম বিভিন্ন মিডিয়ায় গাবতলী গুরুর হাটের ইজারাদার ও গবাদি পশু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মোঃ মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেন। সে সকল অভিযোগের প্রতিবাদে গবাদি পশু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মজিবর রহমানের এ সংবাদ সম্মেলন। মজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলমের নির্দেশে মাংস ব্যবসায়ীরা গবাদিপশু ব্যবসায়ীদে বকেয়া পাওনা টাকা নিয়ে তালবাহানা করছে। গবাদিপশু ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে বাকিতে পশু ক্রয় করে সেই টাকা তারা দিতে চাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা পাওনা টাকা চাইলে মাংস ব্যবসায়ীরা গাবতলী গরুর হাটে পশু ক্রয় করতে যাচ্ছে না। অন্য হাট থেকে তারা পশু ক্রয় করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। রবিউলের নেতৃত্বে এক শ্রেণীর মাংস ব্যবসায়ীরা গাবতলী হাটের পশু ব্যবসায়ীদের সর্বশান্ত করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে।

মজিবর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন। তার দীর্ঘদিনের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মাংস ব্যবসায়ীদের কথিত মহাসচিব রবিউল আলম সে কোন মাংস ব্যবসায়ী না। প্রকৃতপক্ষে দালালির মাধ্যমে আয় রোজগার করাই তার কাজ। রবিউল যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে সেই সরকারের খাস লোক বনে যায়। সে একজন সুবিধাবাদী। সে নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। মজিবর রহমান সমিতির স্বার্থে গাবতলীতে ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেছিল রবিউল, হুন্ডি ব্যবসায়ী আনোয়ার, বিএনপি নেতা আমজাদ গংরা মিলে জাল দলিলের মাধ্যমে জমিটি বিক্রি করে দেয়। এছাড়াও সমিতির নামে হেমায়েতপুরে আরও ৩৩ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৯ থেকে ১০ কোটি টাকা। এই জমিটিও রবিউল গংরা জাল দলিলের মাধ্যমে বিক্রির পায়তারা করছে। হাজী মজিবর রহমান গবাদি পশু ব্যবসায়ী সমিতির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকলে রবিউল গংদের স্বার্থ হাসিল করতে অসুবিধা। তাই হাজী মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। এছাড়াও রবিউল মাংস ব্যবসায়ীদেরকে কার্ড দেয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। গরু চুরির সিন্ডিকেটের সাথে রবিউলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। পুরান ঢাকার মাংস ব্যবসায়ী জানু হাজীর ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে রবিউলের বিরুদ্ধে।

গবাদি পশু ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দরা বলেন, গাবতলী পশুর হাটে কোন চাঁদাবাজি হয় না, ইজারাদার বাড়তি খাজনা আদায় করেন না। মজিব বাহিনী বলে কোন বাহিনী নেই। এসবই রবিউলের সাজানো কাহিনী। তার সংগঠনের কোন ভিত্তি নেই। সে দীর্ঘ ২৮ বছর যাবৎ কিভাবে মহাসচিব পদটি আকড়ে থাকে এটা কি কোন সমিতির আইনে আছে? বাংলাদেশ গবাদি পশু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মজিবর রহমান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সরকারের কাছে রবিউলের সঠিক বিচারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত গবাদি পশু ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যবৃন্দ এবং মাংস ব্যবসায়ীদের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। হটচননিউজ২৪বিডিকম

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top