সকল মেনু

দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের নির্মান কাজ শুরু

ok_45521হটনিউজ২৪বিডি.কম : বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত এ এক্সপ্রেসওয়ের বালু ভরাটের কাজ উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় ২০১৮ সালে সেতু উদ্বোধনের সময় এ সড়কটিতেও যান চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তত্ত্ববধানে কাজটি বাস্তবায়ন করবে এসডব্লিউও-পশ্চিম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত পদ্মা সেতু চালু হলে রাজধানীতে আসা যানবাহনের চাপ বাড়বে। একই সঙ্গে রাজধানী থেকে সেতুর দিকে যাবে বিপুল সংখ্যক গাড়ি। এসব যানবাহন যেন নির্বিঘেœ চলতে পারে, সে জন্যই এই সড়কটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

অনুষ্ঠানে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়েও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, শীতকালে ঘনকুয়াশার কারণে সড়ক মহাসড়কে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। তাই দুর্ঘটনা কমাতে চালকদের সর্তক হয়ে গাড়ি চালাতে হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহাপরিচালক (এসডব্লিউও-পশ্চিম) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসানুল কবির, প্রকল্প পরিচালক কর্নেল ইফতেখার আনিস, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (সমন্বয়) লে. কর্ণেল মো. মেহফুজার রহমান, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (২০ ইসিবি) লে. কর্ণেল মো. কবির উদ্দিন সিকদার, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (১৭ ইসিবি) লে. কর্ণেল নিজাম উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলেল সাথে নিরবিচ্ছন্ন সড়ক যোগাযোগের জন্য পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন (ইকুরিয়া-বাবুবাজার লিংক সড়কসহ)-মাওয়া এবং পাঁচ্চর-ভাংগা মহাসড়ক উভয়দিকে ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক সার্ভিস লেনসহ চার-লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এ মহাসড়কটি হবে বাংলাদেশে প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। এর দুপাশে ধীরগতির যানবাহনের জন্য সাড়ে ৫ মিটার চওড়া আলাদা লেন থাকবে। মহাসড়কের কোথাও ক্রসিং থাকবে না। ধীরগতির যানবাহনও মূল সড়কে উঠবে না। ফলে এ সড়ক ধরে দ্রুত গতিতে ও নির্বিঘেœ চলাচল করা যাবে। তিনি জানান, ৫৫ কিলোমিটারের এ মহাসড়কটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে। এর ব্যয় হবে ছয় হাজার ২৫২ কোটি টাকার বেশি। এ সড়কের মাঝ বরাবর ৫ মিটার চওড়া ‘মিড়িয়ান’ থাকবে। ভবিষ্যতে এই স্থানে মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এছাড়াও এ মহাসড়কে ৪টি ফ্লাইওভার, ৪টি রেলওয়ে ওভারপাস, ২১টি আন্ডারপাস এবং ৩টি ইন্টারচেঞ্জ থাকবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top