সকল মেনু

বাইরে নিরব হলেও ভেতরে ভেতরে প্রস্তুত বিএনপির দুই প্রার্থী

5f289497453a8aadcc536d4b94b3eef8হটনিউজ২৪বিডি.কম : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হতে এখনও নিরব থাকলে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুত রয়েছেন বিএনপির দুই নেতা। তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম। তবে এ দুই নেতাই দলের চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছেন।

আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় মঙ্গলবার সভা করে তিনজনের নাম প্রস্তাব করেছে। তারা হলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান ও বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ। এছাড়া বর্তমান মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আউভীও নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগে যখন প্রার্থী নির্ধারণে তোরজোড় তখন বিএনপিও একেবারে ভেতরে ভেতের বসে নেই। বাহ্যিকভাবে নীরবতা দেখা গেলেও ভেতরে ভেতরে নিজেদের অবস্থান গুছিয়ে নিচ্ছেন। এবার নির্বাচনে অনেকের নাম উঠে আসলেও দুইজনের নাম ও তাদের প্রস্তুতির খবর জানা গেছে।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম বাংলা ট্রিবিউন বলেন, ‘দলীয় চেয়ারপারসন যদি আমাদের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি নির্বাচন করবো। আপনারা তো দেখছেন দলের জন্য কারা কাজ করছে। কাজের ওপর বিবেচনা করে ও নেতাকর্মীদের কথা মাথায় রেখেই প্রার্থী নির্বাচন করবেন দলীয় চেয়ারপারসন।’

অন্যদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রতিদিন বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সভা হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে নেত্রীই শেষ সিদ্ধান্ত দেবেন। আমি প্রার্থী হবো কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়, তবে নেতাকর্মীরা আমাকে বলছে নির্বাচন করতে।’

২০১১ সালের নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হয়ে এক লাখেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে শামীম ওসমানকে পরাজিত করে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াত আইভি। আর ভোটের মাত্র ৭ ঘণ্টা তৈমূর আলমকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই সময়ে তৈমূর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘আমাকে গোসল ছাড়াই কোরবানী দেওয়া হয়েছে।’

তৈমূর আরও জানিয়েছিলেন, ‘গত নির্বাচনে বিএনপির এক লাখ ভোট থাকার পরেও কেন আমাকে বসিয়ে দেওয়া হলো সেটার কারণ আমি চেয়ারপারসনের কাছে জানতে চাইবো। তার পর সিদ্ধান্ত জানাব।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top