সকল মেনু

আলেপ্পোয় আসাদ বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত ৮৪

7ec43b78189e010ece4ef4bd2d8d304d-582d2d6a8fea5আন্তর্জাতিক ॥ হটনিউজ২৪বিডি.কম : সিরিয়ার বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত পূর্ব আলেপ্পোয় ফের বিমান হামলা শুরু করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনী। এ হামলা বাদ যায়নি শিশু হাসপাতালও। ১৬ নভেম্বর বুধবার আলেপ্পোর একটি হাসপাতাল, একটি ব্লাড ব্যাংক ও একটি স্কুলের কাছে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে নিহত হন পাঁচ শিশুসহ অন্তত ২১ জন। এর আগে মঙ্গলবারের হামলায়ও অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে আলেপ্পোয় বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবিধাকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

বিমান হামলার শিকার পূর্ব আলেপ্পোর বায়ান শিশু হাসপাতালে কামানের গোলা ছোঁড়া হয়। এতে হাসপাতালটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে সেখানকার ব্লাড ব্যাংক ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হামলার প্রেক্ষিতে হাসপাতালের পরিচালক ভূগর্ভে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।

তিন সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার ফের বিমান হামলা শুরু করে রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট আসাদ বাহিনী। ১৪ নভেম্বর নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের টেলিফোন আলাপের পরই আলেপ্পোয় এ বিমান হামলা শুরু হয়। ওই টেলিফোন আলাপে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক ছাড়াও বিশেষ করে সিরিয়া ইস্যুতে কথা বলেন দুই নেতা।

সিরিয়ায় গত পাঁচ বছরের গৃহযুদ্ধে নিহত হয়েছেন অন্তত আড়াই লাখ মানুষ।
সিরিয়ায় গত পাঁচ বছরের গৃহযুদ্ধে নিহত হয়েছেন অন্তত আড়াই লাখ মানুষ।

অধিকারকর্মীরা বলছেন, বড় ধরনের স্থল অভিযানের আগে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী আলেপ্পোয় বিমান হামলা শুরু করেছে। বিভিন্ন রণাঙ্গনে বিপুল সেনা সমাবেশ ঘটেছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, বুধবার আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চলে বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। হেলিকপ্টার থেকে ফেলা হয়েছে ব্যারেল বোমা। বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে কামান ব্যবহার করা হয়েছে।

সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্সের একজন কর্মকর্তা বেবার্স মিশাল। বার্তা সংস্থা রযটার্সকে তিনি বলেন, ‘হেলিকপ্টারগুলো এক মুহূর্তের জন্যও থামছে না। বোমা হামলার তীব্রতা কমছে না।’

আল জাজিরার প্রতিনিধি ওসামা বিন জাভাইদ জানান, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হামলাগুলোর একটি ছিল আল শার সংলগ্ন এলাকায়। সেখানে ব্যারেল বোমা ফেলা হয়েছে। শিশুদের একটি হাসপাতাল এবং একটি স্কুলের পাশেও এ বোমা হামলা চালানো হয়। ঘণ্টায় ঘণ্টায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top