সকল মেনু

মকবুলের বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ মিলেছে

makbul_44830হটনিউজ২৪বিডি.কম : যুদ্ধাপরাধী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে মৌলভীবাজারের ৩ জনের বিরু্দ্েধ চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মকবুল আহমেদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে তদন্ত সংস্থা। তদন্তে অগ্রগতিও হয়েছে। এ তদন্তে তথ্য-প্রমাণও পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষ আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করার বিষয়টি জানানো হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জানা যায়, মকবুল আহমাদের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদক প্রকাশের পর অনুসন্ধানে নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান বলেন, একটি অনলাইন পত্রিকার খবরের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তার বিরুদ্ধে ৭ থেকে ১১ জনকে হত্যার অভিযোগ পেয়েছি। এ অভিযোগ প্রমাণ হলেই মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জাড়িত থাকার অপরাধে দায়ে মকবুলের আগে দলটির আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আরও ২ নেতা আবদুস সুবহান ও এ টি এম আজহারুল ইসলামেরও ফাঁসির রায় হয়েছে ট্রাইব্যুনালে। আরেক নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আমৃত্যু কারাদ- ভোগ করছেন।

দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় সবাই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তারের পর মকবুল আহমাদকে ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব দেয় জামায়াত। আর গত ১৭ অক্টোবর তাকে আমির নির্বাচনের কথা গণমাধ্যমকে জানায় তারা। জামায়াতের এর আগের সব নেতাই ছিলেন চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী। তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতার তথ্য প্রমাণ ছিল আগে থেকেই। কিন্তু মকবুলের বিরুদ্ধে এমন জোরালো কোনো অভিযোগ আসেনি গণমাধ্যমে।
মকবুলকে জামায়াত আমির হিসেবে বেঝে নেয়ার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইুব্যনালের তদন্ত সংস্থা জানায়, এই নেতার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসেনি তার কাছে। তবে মকবুল জামায়াতের আমির হওয়ার পর তার নিজ এলাকা ফেনীর মুক্তিযোদ্ধারা তার একাত্তরের ভূমিকা সামনে নিয়ে আসেন। তারা জানান, জামায়াতের সেই সময়ের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের নেতা হিসেবে অন্যান্য অনেকের মতো মকবুলও পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ করেন তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top