সকল মেনু

দ্বিতীয় সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশন: চালু হচ্ছে পটুয়াখালীতে

1_40383হটনিউজ২৪বিডি.কম : দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং ষ্টেশনের মাধ্যমে ১ হাজার ৪০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সুবিধাসহ নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কক্সবাজারে প্রথম স্থাপিত সাবমেরিন স্টেশনের চেয়ে পটুয়াখালী সাবমেরিন স্টেশন আটগুন বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন।

বাংলাদেশকে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডল ইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ-৫ (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫)-এর সঙ্গে সংযুক্ত করতে ল্যান্ডিং স্টেশন ও সংযোগ লাইন স্থাপন, ফাংশনাল বিল্ডিংসহ প্রায় সব অবকাঠামোর কাজই শেষ করেছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)। আগামী বছরের শুরুতেই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর আরো ১ হাজার ৪০০ জিবিপিএস (গিগাবিটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ সরবরাহের সক্ষমতা অর্জন করবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি।

সাবমেরিন কেবল টেলিযোগাযোগ বিভাগের আঞ্চলিক প্রকল্প পরিচালক পারভেজ মনন আশরাফ জানান, দেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি। দিন দিন এর সংখ্যা বৃদ্বি পাচ্ছে। বর্তমানে কক্সবাজারে একটি মাত্র সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে সরবারহ করা হচ্ছে। কিন্তু এর কেবল লাইন কাটা থাকায় গ্রাহকদের প্রায়ই বিপাকে পড়তে হয়। বিশেয করে কক্সবাজারে মিলিত ২০০ জিবিপিএস ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেশনটির মেয়াদ শেষ হলে পটুয়াখালী সাবমেরিন স্টেশন থেকে গ্রাহকরা নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে।

তিনি আরও জানান, কুয়াকাটা মাইটভাঙ্গা গ্রামে ২০১৩ সালের শেষের দিকে ১০ একর জমির উপর ৬৬০ কোটি টাকা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেয়া হয়। এখন প্রকল্পটির কাজ শেষের পথে। সাগরের নিচ দিয়ে ফ্রান্স থেকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত ২৫ হাজার কিলোমিটার কেবল লাইন এসে এখানে সংযুক্ত হবে। এটি নভেম্বরে চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা চালু হবে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top