সকল মেনু

আ.লীগ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী

pm-corner_39694হটনিউজ২৪বিডি.কম : আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে এবং উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিভিন্ন স্থানীয় সংস্থা ও বিদেশী সংগঠন সরকারের নামে মিথ্যা দুর্নাম রটিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা দুর্নাম রটিয়েই তারা ক্ষান্ত হয়নি, মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মাধ্যমেও তারা সরকারের পতন ঘটাতে চেয়েছিল। কিন্তু যতই ঝড়-ঝঞ্ঝা আসুক না কেন, তা সাহসের সাথে মোকাবেলা করে জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম হওয়ার কারণে আজকে আওয়ামী লীগ জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে পেরেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সভায় উদ্বোধনী ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার কারণেই তার সরকার দারিদ্র্য দূরীকরণের পাশাপাশি ৭ দশমিক ১ শতাংশ হারে জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। লক্ষ্য স্থির করেই আমরা কাজ করি এবং আমাদের লক্ষ্য এখন দেশে দারিদ্র্যের হারকে আরো কমিয়ে আন।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জাতিসংঘ নির্ধারিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) মতই বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনেও সক্ষম হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, আর যদি অতীতের মত জনগণের সম্পদ লুন্ঠনকারি দেশের ক্ষমতায় আসে তাহলে এই লক্ষ্য অর্জন করার পরিবর্তে দেশকে লুটতরাজ, অর্থ আত্মস্যাৎ, মানিলন্ডারিং, এমনকি এতিমের টাকা মেরে খাওয়ার মাধ্যমে পিছিয়ে দেবে। জনগণকে আবারো হত্যা ও খুনের রাজত্ব দেখতে হবে।
এ সময় জনগণের জান-মাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলা ও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার সরকারের তিনি তীব্র সমালোচনা করেন।

বিএনপি সরকারের ছাগল প্রকল্পের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ছাগল অর্থনীতি দিয়ে আর যাই হোক দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।

তিনি আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা এবং সম্পদ ধ্বংসের জন্য বিএনপিকে অভিযুক্ত করে বলেন, তাদের কারণেই দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি।
শেখ হাসিনা তার ভাষণে জনগণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন। বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করার লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব আসবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা কাউন্সিল সফলভাবে করব। এর মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সরকার তো দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করবেই। দলের পক্ষ থেকেও সহযোগিতা করতে হবে, যাতে আমরা এই কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে করতে পারি।’

এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলকে আরও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যের কথা জানান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অর্জনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ দলের নেতৃত্বে স্বাধীনতা এসেছে। জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ বৈরী পরিবেশ ও অত্যাচার মোকাবেলা করে জনগণের জন্য কাজ করেছে।’

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার কারণেই বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই উন্নয়ন হয়।’

তার বর্তমান সরকারের মেয়াদের বাকি সময়টুকুও দেশের উন্নয়নে যথাযথভাবে ব্যয় করতে চান বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top