সকল মেনু

কান্নাকাটি করে কোনও লাভ নেই : প্রধানমন্ত্রী

pm-fine-bg_39038হটনিউজ ডেস্ক :  দেশে কোন বিদেশি অতিথি আসলে তাদের কাছে তিনি নালিশ করেন যে, দেশে গণতন্ত্র নেই- এ অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশিদের কাছে নালিশ করে লাভ হবে না। আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভার সূচনা বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি লেন, বিদেশি কোনও অতিথি এলেই দেখা করে গণতন্ত্র নেই বলে নালিশ করেন। গণতন্ত্রের ডেফিনেশন (সংজ্ঞা) কী, বলতে পারে কিনা আমার সন্দেহ। গণতন্ত্র বানান করতে পারবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ আছে। তিনি বলেন, কান্নাকাটি করে কোনও লাভ নেই। আমরা দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছি, উন্নয়ন করে যাবো। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফর অত্যন্ত সফল হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে। মানুষ কিছু পায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই- এ কথা আজ শুনতে হয়! আশ্চর্য লাগে, কাদের মুখ থেকে এ কথা শুনতে হয়! যারা ৭৫-এর পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, জিয়া ক্ষমতায় এসে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, আর্মি রুলস লঙ্ঘন করেছে, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে অবৈধ সংগঠন করেছে, সেই সংগঠন বিএনপির মুখ থেকে গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন, গণতন্ত্র আছে বলেই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। পদ্মাসেতুর কাজ শুরু করতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, আন্দোলন আমরাও করেছি। আমাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা ছিল, তাই সফল হয়েছি।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে, যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দিয়েছে, এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে, মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, যুদ্ধপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে জাতীয় পতাকার মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে, তাদের বিচারও বাংলার মাটিতে হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে, জনরোষে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে, তাদের মুখ থেকে আজ গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়!
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, অবৈধভাবে যারা ক্ষমতায় এসছিলো, ভোট চুরি করে যারা ক্ষমতায় গিয়েছিলো। তাদের মুখে গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয়। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্য। বিদেশি কেউ আসলে তাদের কাছে গিয়ে বলে দেশে গণতন্ত্র নাই। তিনি বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের মদদদাতা, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিন খেলেছে, লুটপাট করেছে, আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়েছে। তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top