সকল মেনু

শক্তিবর্ধক ড্রাগেই সেরেনাদের সাফল্য?

অলিম্পিক থেকে নিষিদ্ধ হয়ে রাশিয়া প্রমাণ করতে মরিয়া-অনেক তারকা অ্যাথলেট ডোপপাপী। সেই ধারাবাহিকতায় দেশটির একদল হ্যাকার বিশ্ব এন্টি ডোপিং এজেন্সির ওয়েবসাইট হ্যাক করে সেরেনা, ভেনাস, সিমন বেইলিসদের মতো তারকা অ্যাথলেটদের ব্যক্তিগত চিকিৎসার তথ্য চুরি করেছে। আর তাতেই বিশ্বজুড়ে ফিসফাস শুরু হয়েছে সেরেনাদের সাফল্যের রহস্য নিয়ে।

হ্যাক হওয়া তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে ফ্যান্সি বিয়ার নামের একটি ওয়েবসাইটে। সেখানে দাবি করা হয়েছে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সেরেনা উইলিয়ামস এবং তার বোন ভেনাস উইলিয়ামস বেশ কয়েক পদের নিষিদ্ধ ড্রাগ নিয়েছেন। সব ড্রাগের নামও প্রকাশ করা হয়েছে।

আমেরিকান জিমন্যাস্ট বেইলিসের ফাঁস হওয়া তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, মনোযোগ ঘাটতি ব্যাধির জন্য তিনি ওষুধ গ্রহণ করেন।

তবে বিশ্ব এন্টি ডোপিং এজেন্সি বলছে, যাদের তথ্য ফাঁস করা হয়েছে তারা কোনো দোষ করেননি। কারণ ওইসব ড্রাগ আন্তর্জাতিক স্পোর্টস ফেডারেশন থেকে অনুমোদিত।

এদিকে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি হ্যাকিংয়ের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলছে, এতে নির্দোষ খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হলো।

ভেনাস উইলিয়ামস বলেছেন, তার অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত চিকিৎসার তথ্য প্রকাশ হওয়ায় তিনি হতাশ।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘খেলার জন্য আমি টেনিস এবং ডোপিং বিরোধী সংস্থার সব নীতিমালা অনুসরণ করেছি। টেনিসের সততা রক্ষায় আমি সচেষ্ট।’

বেইলিস তার টুইটার পেজে ছোট একটি বিবৃতি দিয়েছেন, ‘ডোপিং-বিরোধী সংস্থার কাছে আমার ব্যক্তিগত চিকিৎসার তথ্য ছিল। ছোটবেলা থেকে আমি মনোযোগ ঘাটতি ব্যাধির ওষুধ নিয়ে আসছি। দয়া করে বিশ্বাস করুন আমি খেলাধুলার সততা রক্ষায় প্রত্যয়ী। আমাকে ভুল বুঝবেন না।’

রিও অলিম্পিকে রাশিয়া দলের শতাধিক অ্যাথলেটকে বহিষ্কার করে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। ডোপিংয়ের অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। সেই থেকে রাশিয়া বলে আসছে, এই ধরনের ওষুধ আমেরিকার প্রত্যেক অ্যাথলেট ব্যবহার করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top