সকল মেনু

পার্বতীপুরে মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ২০ সেপ্টেম্বর থেকে আমরণ অনশন

unnamedরাইসুল ইসলাম, পার্বতীপুর (দিনাজপুর): দিনাজপুরের পার্বতীপুরে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আমিনুল ইসলাম তার বন্ধ হওয়া মুক্তিযোদ্ধা সন্মানী ভাতা চালু করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। ঈদের আগে তার এই ভাতা চালু করা না হলে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর হ’তে এই মুক্তিযোদ্ধা পার্বতীপুরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন শুরু করার আলটিমেটাম দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম তার এই স্মারকলিপি পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরন করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলামের পিতার নাম মৃত আব্দুল করিম, মাতা মৃত জওজা খাতুন। বাড়ী পার্বতীপুর উপজেলার ৮নং হাবড়া ইউনিয়নের পূর্ব শেরপুর (বর্তমান শহীদ হাট) গ্রামে। তিনি তার স্মারকলিপিতে বলেছেন ২০০৫ সালের ৫জুন প্রকাশিত গেজেটে তার নাম আমিনুল ইসলাম এর স্থলে ভুলবশতঃ আব্দুর রাজ্জাক ছাপা হয়। অন্যসব ঠিক ছিলো। ২০০৯ সালে সরকারীভাবে তদন্ত করে তৎকালীন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং জেলা প্রশাসক সঠিক নামের তদন্ত রিপোর্ট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব বরাবর প্রেরণ করেন, যার স্মারক নং সাধারণ/বাব-১৫ (অংশ-২) /২০১০/৩২। এরপর হতে মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম তার সঠিক নামে ভাতাপ্রাপ্ত হন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম জানান, ১৯৭১ সালে আমি বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। তিনি বলেন, ভারতের পশ্চিম দিনাজপুরের ডাঙ্গারহাট, বালুর ঘাটের কাটলা ইয়ুথ ক্যাম্পে ভর্তি হয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। মুক্তিযুদ্ধে তার ভারতের তালিকা নং-৩৭৬৪, ভর্তির তারিখ ১৯৭১ সালের ২৩  অক্টবর, বাংলাদেশ গ্রেজেট নং-৩১০০। তিনি আরও বলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আ.ল.ম ফজলুর রহমান। কাটলা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হিসেবে মূল তালিকাটি চলতি বছরের ৫জুন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে হস্থান্তর করেছেন। এদিকে ভাতা বন্ধ থাকার কারনে শারীরিক প্রতিবন্ধী (প্রারালাইস্ট) মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলামের অবস্থা ‘মানবেতর’ এর চেয়েও করুণ ও দুর্বিসহ। অর্থাভাবে তিনি খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। টাকার অভাবে তার নিজের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারছেন না। এ অবস্থার প্রতিকার চেয়ে তিনি যে স্মারকলিপি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বরাবর পাঠিয়েছেন তার অনুলিপি দিনাজপুর জেলা প্রশাসক, দিনাজপুর পুলিশ সুপার ও পার্বতীপুর মডেল থানার ওসিকে প্রদান করেছেন। স্মারকলিপি প্রদান সম্পর্কে জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম বলেন, গত ২০১৫ সালে নভেম্বর মাস থেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্মানী ভাতা বন্ধ রয়েছে।  তিনি আরও জানান, ধুঁকে ধুঁকে মরার আগে বিষয়টি সবাইকে জানানো প্রয়োজন বলে মনে করেছি। তার স্মারকলিপি প্রদানের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিস হতে নিশ্চিত করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top