সকল মেনু

চামড়া কিনতে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে ব্যাংক

 
চামড়া কিনতে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে ব্যাংক
আসন্ন কোরবানির ঈদে ব্যবসায়ীরা যাতে পশুর চামড়া নির্বিঘ্নে কিনতে পারেন সেজন্য ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিভিন্ন ব্যাংক। যার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব চার বাণিজ্যিক ব্যাংক দিচ্ছে ৫৮০ কোটি টাকা। এছাড়া বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংক চামড়া কিনতে ২০ কোটি টাকা দিচ্ছে। চামড়া খাতে দেওয়া এবারের ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ থেকে ১২ শতাংশ। মঙ্গলবার থেকে চামড়া ক্রয়ে ঋণ দেওয়া শুরু করেছে ব্যাংকগুলো।
জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানার চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে বরাবরের মত এবারও চামড়া কিনতে সবচেয়ে বেশি ঋণ দিচ্ছে জনতা ব্যাংক। ২০ ব্যবসায়ীকে ২৫০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি। গত বছর এ ব্যাংক চামড়া কিনতে ২০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল। এরপর ১৭০ কোটি টাকা ঋণ চাহিদা রয়েছে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের গ্রাহকদের। গতবছর এ ব্যাংক চামড়া ক্রয় করার জন্য ১৫০ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছিল।
এছাড়া অগ্রণী ব্যাংক গতবছর এ খাতে ১৩০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করলেও এবছর ১০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে প্রয়োজনের তাগিদে তা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। আর রূপালী ব্যাংক প্রাথমিকভাবে ১৬০ কোটি টাকা ঋণ চাহিদা রয়েছে। তবে এই দুই ব্যাংক নতুন করে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানের আবেদন পেলে ঋণ বাড়াবে বলে জানিয়েছে। এছাড়া বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল, সিটিসহ কয়েকটি ব্যাংক মিলে চামড়া কিনতে এবারে ২০ কোটি টাকার মতো ঋণ দেবে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশের চামড়ার গুণগত মান ভালো হওয়ায় বিশ্ব বাজারে চাহিদা রয়েছে। এ কারণে কোরবানি ঈদের আগে ট্যানারি মালিকদের কাছে প্রচুর পরিমাণে অগ্রিম ক্রয়াদেশ আসে। বছর জুড়ে দেশে যত চামড়া পাওয়া যায় তার ৬০ থেকে ৬৫ ভাগই চামড়া পাওয়া যায় কোরবানির সময়। এজন্য এ সময় চামড়া কিনতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয়।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে ঋণ দিয়েছেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদেরকেই আবার ঋণ দেয়া হয়। এক্ষেত্রে তিনি কোনো ব্যাংকের খেলাপি কিনা তা যাচাইর জন্য ঋণ তথ্য ব্যুরোর (সিআইবি) রিপোর্ট সংগ্রহের পাশাপাশি ইতিপূর্বে ঋণ পরিশোধের রেকর্ড ও ব্যবসায়িক সক্ষমতা যাচাই করা হয়। ব্যাংকগুলো পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে এরই মধ্যে কাকে কতো টাকা ঋণ দেয়া হবে তা ঠিক করেছে। তবে নতুন করে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানের আবেদন আসলে শেষ সময়ে তাদের ঋণ দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top