আজ ম্যাচের পুরোটা জুড়েই আধিপত্য ছিল বাংলাদেশের। যদিও প্রথমে গোল খেয়ে বসেছিল স্বাগতিকেরাই। ১০ মিনিটেই খেলার ধারার বিপরীতেই ওই গোল। একটি প্রতি আক্রমণে রক্ষণভাগের একটি ভুল পাসে দূরপাল্লার শটে গোল করেন তাইপের সু ইউ হুসুন।
বাংলাদেশ খেলায় ফেরে পেনাল্টি গোলে। বাংলাদেশের কৃষ্ণা রানী সরকার বল নিয়ে তাইপের বক্সে ঢুকে পড়তে চাইলে তাঁকে ফাউল করেন চেন চিয়াও। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। সঙ্গে বাংলাদেশ দলকে আনন্দে ভাসিয়ে পেনাল্টির বাঁশিও বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন শামসুন্নাহার।
৩৬ মিনিটে আরও একটি পেনাল্টিতে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এবারও সেটি এনে দেন অধিনায়ক কৃষ্ণা। পেনাল্টিটি গোলে পরিণত করেন সেই শামসুন্নাহারই। প্রথমার্ধ শেষে স্কোরলাইন এই ২-১-ই।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও গোলের নেশায় আক্রমণে ঝাঁপায় সংখ্যায় একজন এগিয়ে থাকার সুবিধায় বলীয়ান বাংলাদেশের মেয়েরা। ৫৪ মিনিটে দলকে ৩-১ গোলে এগিয়ে নেন কৃষ্ণা। তাইপের বক্সের মধ্যে বাম প্রান্ত দিয়ে ঢুকে দুর্দান্ত শটে দর্শনীয় ওই গোল। ৭৭ মিনিটে ৪-১ হয়ে যায় স্কোরলাইন। কৃষ্ণার একটি শট ঠেকাতে করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন তাইপের সু ইউ হুসুন।
৮৮ মিনিটে ব্যবধান কমান উ ইয়ো জো। খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তাইপের তেং পেই লিন। নয়জন নিয়ে ম্যাচ শেষ করে চীনা তাইপে। আর বাংলাদেশের কিশোরীরা শেষ করে সীমাহীন উচ্ছ্বাসে। ম্যাচশেষে ল্যাপ অব অনারও দিয়েছে তারা। নগদপুরস্কারও মিলল গ্যালারিতে হাজার পাঁচ-ছয় দর্শকের তুমুল করতালিতে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।