সকল মেনু

মীর কাশেমের ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন

ae2f07935e24ff6724e8a91324242880-kasem

কাশিমপুর ও কেরানীগঞ্জ দুই কারাগারই প্রস্তুত ॥ ইতোমধ্যে ফাঁসির মহড়াও শেষ হয়েছে

শংকর কুমার দে/মোস্তাফিজুর রহমান টিটু ॥ যে কোন দিন যুদ্ধাপরাধী ধনকুবের জামায়াত নেতা আল বদর বাহিনীর কমান্ডার মীর কাশেম আলীর ফাঁসির রায় কার্যকর করার জন্য প্রস্তুত সরকার। তার ফাঁসির রায় কার্যকর করার জন্য গাজীপুর ও কেরানীগঞ্জের দুই কারাগারেই ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত। প্রস্তুত জল্লাদও। কারাগার কর্তৃপক্ষও প্রস্তুত। অনুষ্ঠিত হয়েছে ফাঁসি কার্যকরের মহড়াও। শুধু যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাওয়া বা না চাওয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষা মাত্র। বুধবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারগারে মীর কাশেম আলীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন তার স্ত্রী, কন্যা, পুত্রবধূসহ সঙ্গে তার পরিবারের দশ সদস্য। মীর কাশেম আলী তাঁর নিখোঁজ ছেলেকে ফিরে পাওয়া ছাড়া শর্তারোপ করে প্রাণভিক্ষার আবেদন করবে কি করবে না সেই বিষয়ে মীর কাশেম আলী কোন সিদ্ধান্ত দেবেন না বলে কারাগারে সাক্ষাতের পর জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন। কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বুধবার কারা অধিদফতরে সাংবাদিকদের বলেছেন, সাধারণ আসামিদের ক্ষেত্রে রিজেনবল সময় সাত দিন হলেও আইসিটি আইনে এরকম কোন নিয়ম নেই, আমরা তাকে (মীর কাশেম আলী) রিজেনবল সময় দেব। রাষ্ট্রপতির কাছে মীর কাশেম আলীর পরিবার থেকে প্রাণ ভিক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়ার কালক্ষেপণের কোন সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করা হলেও নির্দিষ্ট আইনানুগ সময়ের বেশি প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ার অপেক্ষার জন্য কালক্ষেপণ করার সুযোগ দিবে না সরকার।

পরিবারের দশ সদস্যের সাক্ষাত ॥

বুধবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর সঙ্গে দেখা করতে যান তার পরিবারের নয় সদস্য। বুধবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে তাঁরা কারা ফটকে পৌঁছান। পরে কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ভেতর যান তারা। যে নয় জন মীর কাশেম আলীর সঙ্গে দেখা করেছেন তার মধ্যে রয়েছেন তার স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন, দুই মেয়ে তাহেরা তাসনীম ও সুমাইয়া রাবেয়া, দুই পুত্রবধূ শাহেদা তাহমিদা আক্তার ও তাহমিনা আক্তার, ভাতিজা মোঃ হাসান জামান ও তিন শিশু। বুধবার বেলা প্রায় তিনটা চল্লিশ মিনিটের দিকে সাক্ষাত শেষে বের হয়ে আসেন তারা। মীর কাশেম আলীর সঙ্গে তার পরিবারের কারাগারে দেখা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২-এর কারাধ্যক্ষ নাশির আহমেদ।

ফাঁসির আগে আবার দেখা হবে ॥ যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর সঙ্গে কারাগারে দেখা করে এসে তার স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন বলেছেন, সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আবারও স্বামীর কাছে আসবেন তিনি। আইনী শেষ লড়াইয়ে হেরে ফাঁসিকাষ্ঠে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শেষবারের মতো আবারও তিনি দেখা করবেন। কারাগার থেকে বেরিয়ে আয়েশা খাতুন সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, এই দেখাই শেষ দেখা নয়। শেষ কাজগুলো কেমন হবে ? শেষ কাজগুলো আমরা কীভাবে করব, সে পরামর্শের জন্যই এসেছি। প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে মীর কাশেম কী বলেছেন- জানতে চাইলে তার স্ত্রী বলেন, যেহেতু আমাদের ছেলে একজন ল’ইয়ার এবং পরিবারেরও একজন সদস্য। এ জন্য পরিবারের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেছেন। আমরা অপেক্ষা করছি, ছেলেকে পাওয়া যায় কি না। মৃত্যুদ-ের রায় পুনর্বিবেচনায় (রিভিউ) এই জামায়াত নেতার আবেদন মঙ্গলবার আপিল বিভাগ খারিজ করে দেয়ার পর এখন শুধু দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগই রয়েছে মীর কাশেম আলীর।

নিখোঁজ ছেলেকে ছাড়া সিদ্ধান্ত নয় ॥ মীর কাশেম আলী তাঁর ‘নিখোঁজ’ ছেলেকে ছাড়া প্রাণভিক্ষার আবেদন বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেবেন না বলে জানিয়েছেন তার পরিবারকে। বুধবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দী মীর কাশেমের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এই ধরনের তথ্য জানান তাঁর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন। কারাগারে মীর কাশেম আলীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে বের হয়ে এসে স্ত্রী খন্দকার আয়েশা বলেন, সাদা পোশাকধারী লোকজন ২২ দিন আগে তাদের ছেলে ব্যারিস্টার আহম্মেদ বিন কাশেমকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেছে। তাদের ছেলে তাঁর বাবার আইনজীবীও। পারিবারিক যে কোন পরামর্শের জন্য প্রয়োজন তাকে। ছেলেকে ছাড়া তাই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেবেন না তাঁর স্বামী (মীর কাশেম আলী)। এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না পরিবারও। এরপর আর কোন কথা না বলে এ্যাম্বুলেন্সে চড়ে চলে যান যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মীর কাশেমের পরিবারের দশ সদস্য। বাবার মামলা পরিচালনায় যুক্ত ব্যারিস্টার আহমেদকে গত ৯ আগস্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়া হয় বলে পরিবারের অভিযোগ করেছে তার পরিবার। কিন্তু সাদা পোশাকে তাকে তুলে নেয়ার বিষয়ে অস্বীকার করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তৃপক্ষ পুলিশ।

প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নিষ্পত্তির পর ॥ মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধে মীর কাশেমের ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন মঙ্গলবার দেশের খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত। তারপরই ৬৩ বছর বয়সী মীর কাশেমের ফাঁসি কার্যকরের সব ধরনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাঁর ফাঁসি কাশিমপুর কারাগার নাকি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর হবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক লে. কর্নেল ইকবাল হাসান। রাষ্ট্রপতির কাছে তার প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়টি নিষ্পত্তির পরই কোন কারাগারে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারেই মীর কাশেম আলীর ফাঁসির রায় কার্যকর করার সম্ভাবনা বেশি বলে জানা গেছে।

যা বলেছেন কারা মহাপরিদর্শক ॥ কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেছেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি মীর কাশেম আলীকে উচ্চ আদালত থেকে খারিজ হওয়া রিভিউ আবেদনের আদেশ পড়ে শোনানো হয়েছে বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায়। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য চিন্তা করে জানাবেন বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন তিনি। আমরা রিজেনেবল সময় দেব তাকে। বুধবার বিকালে কারা অধিদফতরে সাংবাদিকদের অনানুষ্ঠানিক এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান, কারা মহাপরিদর্শক(আইজি প্রিজন)। আইজি প্রিজন বলেন, সাধারণ আসামিদের ক্ষেত্রে রিজনেবল সময় সাত দিন। তবে আইসিটি আইনে এরকম কোন নিয়ম নেই। তবে তিনি সর্বোচ্চ সাত দিনের বেশি সময় পাবেন না।’ আমরা তাকে রিজনেবল সময় দেবে তাকে। ফাঁসির রায় কার্যকর জন্য প্রস্তুতির বিষয়ে আইজি প্রিজন বলেন, কারাগারের ওপর যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা পালনে কারা কর্তৃপক্ষ সবসময় প্রস্তুত। তবে কাশিমপুর নাকি কেরানীগঞ্জ কোন কারাগারটিকে তার ফাঁসির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি। আইজি প্রিজন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রিভিউর আদেশ পাওয়ার পর পরই আমরা তা কাশিমপুর কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছি। বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টায় তাকে রায় পড়ে শোনানো হয়েছে। এরপর তার পরিবার দেখাও করেছে। এটা তার পরিবারের শেষ দেখা কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণত কোন রায় হলে, এমনিতেই স্বজনরা দেখা করার সুযোগ পায়। মীর কাশেম কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ॥ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ বন্দী রয়েছেন মীর কাশেম আলী। ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ হওয়ার রায় মীর কাশেম আলীকে পড়ে শোনানো হয় বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায়। রায় পড়ে শোনানোর পর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।

বুধবার সকালে কাশিমপুর কারাগারে মীর কাশেমকে রায় পড়ে শোনায় কারা কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি কাশিমপুর কারাগারে আসে বলে জানিয়েছেন কাশিমপুর কারাগার-২-এর কারা তত্ত্বাবধায়ক প্রশান্ত কুমার বণিক।

বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মীর কাশেমকে রায় পড়ে শোনানো হলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মীর কাশেম আলী।

দুই কারাগারই প্রস্তুত ॥ গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার ও কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার -দুই কারাগারেই মীর কাশেম আলীর রায় কার্যকরে ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত। গাজীপুরের কেন্দ্রীয় কারাগারে মানবতাবিরোধী অপরাধী মীর কাশেম আলীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানা গেছে। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর প্রাণভিক্ষার আবেদন ও সেই আবেদন গ্রহণ, না নাকচ হবে, এই সিদ্ধান্তের ওপর তা নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন কারাগারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ৬৩ বছর বয়সী কাশেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের সব ধরনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার বিষয়ে কারাগার কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকজন জল্লাদকে এ জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মহড়াও দেয়া হয়েছে। মহড়ায় অংশ গ্রহণ করেছে জল্লাদসহ ফাঁসির রায় কার্যকরের সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর পাঁচ যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদ- ॥ এর আগে পাঁচজন যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদ- কার্যকর হয়েছে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেই ২০১৩ সালের কথা। যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লা থেকে শুরু করে দ-িত সবাইকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে এনে নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারের কাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানো হয়। এখন আর নাজিমউদ্দিন রোডের ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার সেখানে নেই। বহু পুরনো সেই কারাগার সম্প্রতি সরে গেছে রাজধানীর উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জে। যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের জন্য কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চও প্রস্তুত। তবে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হলেও এটা এক নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করবে। কারণ এই প্রথম কোন যুদ্ধাপরাধীর কাশিমপুর কিংবা কেরানীগঞ্জের কারাগারে ফাঁসির রশিতে ঝোলানো হলো। এটা দুই কারাগারের জন্য একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যেই পাঁচ যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি ॥ ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ফাঁসিতে ঝোলানো হয় একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত প্রথম ব্যক্তি হিসেবে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লাকে।

এর দুই বছর পর ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল দলটির আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়।

এরপর ২০১৫ সালের ২১ নবেম্বর জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয় একই দিনে। এ বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের ১১ মে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীকে। এই পাঁচ যুদ্ধাপরাধীর সবাইকেই ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে নাজিমউদ্দিন রোডের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। এই প্রথম কোন যুদ্ধাপরাধী নাজিমউদ্দিন রোডের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরে গাজীপুরের কাশিমপুর কিংবা কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হলো।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top