সকল মেনু

‘সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ’ ॥ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসায় কেরি

‘সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ’ ॥ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসায় কেরি

  • ঢাকা-ওয়াশিংটন এক সঙ্গে কাজ করবে
  • বাংলাদেশের জঙ্গী হোম গ্রোন- সিরিয়া বা ইরাক থেকে আসছে না
  • কোটা ফ্রি নিশ্চিত হবে
  • বঙ্গবন্ধুর খুনীকে ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নেবে যুক্তরাষ্ট্র

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি বাংলাদেশ সফরে এসে সুনির্দিষ্টভাবে পাঁচটি বার্তা দিয়ে গেলেন। জন কেরি জানিয়েছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গী প্রতিরোধে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে কাজ করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত পণ্য প্রবেশ নিশ্চিত করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনীকে ফেরত দেয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন মার্কিন সরকার বিরোধিতা করলেও মার্কিন জনগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। রাজধানীর গুলশান হামলা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

সোমবার সকালে ঢাকায় এসে দিনভর ব্যস্ত সময় পার করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছালে বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী স্বাগত জানান। জন কেরি সকালে ধানম-ির ৩২ নম্বর জাদুঘরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বিকেলে জন কেরি ধানম-ির এ্যাডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টারে তরুণ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির সামনে এক বক্তৃতা করেন। সেখানে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন তিনি। এরপর মিরপুরে একটি পোশাক কারখানা পরিদর্শ করেন তিনি। বিকেলে ঢাকা ছাড়ার আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। দিনভর বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় দিল্লীর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের সময় দেশটির মধ্য ও এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাইও সঙ্গে ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ॥ সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অস্ত্র ছাড়া সব ধরনের বাংলাদেশী পণ্যের ‘শুল্ক ও কোটামুক্ত’ প্রবেশাধিকার চেয়েছেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের বাজারে আরও মার্কিন বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে জন কেরি গেলে তাদের বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয় বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের তথ্য আদান-প্রদানের প্রয়োজন রয়েছে। টেররিজমের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-ইউএস একসঙ্গে লড়াই করবে। যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রী বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে আরও ‘ঘনিষ্ঠভাবে’ কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেও প্রেস সচিব জানান। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় তাদের যথেষ্ট এক্সপার্টিজ আছে। তারা এ বিষয়ে সহায়তা করতে পারেন।

ইহসানুল করিম বলেন, প্রযুক্তি সুবিধায় এগিয়ে থাকায় জঙ্গী কর্মকা-ের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনেক তথ্য আসে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সেসব তথ্য তারা আমাদের দিলে জঙ্গী ধরতে সুবিধা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইএস ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়ায় তাদের বিদেশী যোদ্ধারা (যারা সিরীয় নন) নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী তার কাছে জানতে চান, আইএসের অর্থ ও অস্ত্র কোথা থেকে আসছে। জবাবে কেরি বলেন, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস এর দখল করা খনি থেকে তেল বিক্রি করে অর্থ পাচ্ছে তারা। এক দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে সকালে ঢাকা পৌঁছান জন কেরি।

২০১২ সালে হিলারি ক্লিনটনের সফরের পর যুক্তরাষ্ট্রের কোন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই প্রথম বাংলাদেশ সফর। কেরি বেলা ১২টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল, ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ছিলেন কেরির সঙ্গে।

প্রেস সচিব বলেন, প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা, স্বাস্থ্য ও জ্বালানি খাতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে মত দেন জন কেরি। বাংলাদেশের উন্নতির প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তোমরা দুর্দান্ত কাজ করছ। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অন্যান্য ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদাত্বের বিষয়েও কেরি কথা বলেন বলে ইহসানুল করিম জানান।

প্রেস সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাদুঘর দেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে জন কেরি বলেছেন, হি ইজ ইমপ্রেসড। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় কেরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সিনেটর এডওয়ার্ড মুর কেনেডির (টেড কেনেডি) সমর্থনের কথাও তুলে ধরেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ধানম-ির ৩২ নম্বর বাড়ি ঘিরে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলেনের ঘটনাবলী তাকে বলেন।

প্রেস সচিব জানান, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ঘটনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করেন বৈঠকে। জবাবে জন কেরি বলেন, আই আন্ডারস্ট্যান্ড ইওর সেনসিটিভিটি। দিস ইস্যু ইজ আন্ডার রিভিউ।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বর্তমান পররাষ্ট্রনীতি ব্যাখ্যা করে কেরিকে বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’- এই নীতি নিয়ে তার সরকার কাজ করছে। খাদ্য নিরাপত্তা, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনার কথাও তিনি তুলে ধরেন।

অন্যদের মধ্যে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকের সময়।

চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ॥ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। বাংলাদেশকে এ ক্ষেত্রে তার সরকার আরও সহযোগিতা দেবে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা ক্রমশ প্রকাশ্য হবে। বাংলাদেশের জিরো টলারেন্সের প্রশংসা করেছেন জন কেরি। কী ধরনের সহযোগিতা তারা দেবে জানতে চাইলে মাহমুদ আলী বলেন, আলোচনা শেষ হয়ে যায়নি। আলোচনা চলবে, সহযোগিতাও চলবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, বিমানবন্দরে অবতরণের পর থেকেই তাকে হাসি-খুশি দেখেছি। বাংলাদেশের প্রতি তিনি সহমর্মিতা এবং দরদ দেখিয়েছেন। আমি তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আমরা খুশি হয়েছি এবং তিনি খুবই খোলামেলাভাবে আলাপ করেছেন। এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়েছেন। সেখানে তিনি পরিদর্শক বইয়ে যা লিখেছেন, আপনারা গেলে দেখতে পাবেন। সেখানে তিনি লিখেছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনী একজন আছেন ওখানে, তার ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আন্তরিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ফিরে গিয়ে এই বিষয়টি দেখবেন। আসন্ন জাতিসংঘ অধিবেশন চলাকালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আয়োজনে একটি একটি সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন মার্কিন প্রশাসন ও সরকার বিরোধিতা করলেও মার্কিন জনগণ পক্ষে ছিলেন। অনেক সিনেটররাও পক্ষে ছিলেন। তিনি নিজেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। তিনি জন এফ কেনেডির ভাবশিষ্য। কেনেডেরি ভাবশিষ্য হওয়ার কারণে তিনিও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্য প্রবেশে ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। খুব ভাল আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।

নাগরিক ও তরুণ সমাজের উদ্দেশে বক্তৃতা ॥ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার বিকেলে ধানম-ির এ্যাডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টারে (ইএমকে) নাগরিক ও তরুণ সমাজের উদ্দেশে বক্তৃতা করেন। জন কেরি তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকার গুলশানের ক্যাফেতে হামলা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের ওপর আঘাত করে খ-িত করার একটি পরিকল্পনা।

বাংলাদেশে জঙ্গীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জঙ্গীদের সঙ্গে ইসলামিক স্টেটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জঙ্গী গোষ্ঠীর যোগাযোগ রয়েছে। যেসব জঙ্গী এখানে ধরা পড়েছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে হোমগ্রোন। তবে আমরা বলতে চাই, এখানের জঙ্গীরা সরাসরি ইরাক-সিরিয়া থেকে আসেনি। এখানের জঙ্গীদের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশেরও জঙ্গীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে।

সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গী প্রতিরোধের বিষয়ে বলেন, আমরা জানি আমরা কঠিন একটি সময় পার করছি। এই অবস্থায় আমরা সকলেই বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারি। জঙ্গীদের প্রতিরোধে বিভিন্ন ফ্রন্টে আমাদের কাজ করতে হবে। এরমধ্যে আর্থিক ফ্রন্ট, যোগাযোগ ফ্রন্ট, প্রতিরোধ ফ্রন্টকে গুরুত্ব দিতে হবে। জঙ্গী প্রতিরোধে একে অপরের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে হবে, এটা ছাড়া জঙ্গী প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।

বাংলাদেশের প্রশংসা করে কেরির টুইট ॥ বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে টুইট করেছেন ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। সোমবার দু’টি পৃথক টুইটে তিনি এ প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাত করেও বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একটি টুইটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতকালের ছবি পোস্ট করে কেরি টুইট করেন, উন্নয়নে বাংলাদেশের অসাধারণ গল্প রয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করে আনন্দিত। তারপরের টুইটে কেরি লেখেন, বাংলাদেশে আজ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে ছিল নিরাপত্তা ইস্যু এবং কট্টরপন্থী সহিংসতার বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় সহযোগিতার বিষয়ও।

প্রায় আট ঘণ্টা সফর শেষে সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লীর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন জন কেরি। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে জন কেরির এটি প্রথম ঢাকা সফর। এছাড়া বিগত পাঁচ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এটি দ্বিতীয় ঢাকা সফর। এর আগে ২০১২ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছিলেন। সে সময় হিলারি বাংলাদেশ সফর শেষে ভারতেও গিয়েছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top