সকল মেনু

ভোলায় শহররক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে ইলিশার ২ গ্রাম প্লাবিত

unnamedএম. শরীফ হোসাইন, ভোলা: ভোলা শহররক্ষাবাঁধ ভেঙে সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশার ২ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকালে মেঘনার ঢেউয়ের আঘাতে ইলিশার জালালের গুদা নামক এলাকা দিয়ে প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ ছুটে যায়। এছাড়া জোয়ারের আঘাতে ধ্বস দেখা দেওয়ায় ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে সদরেরে ইলিশা, দৌলতখানেরে ভবানিপুর ও সৈয়দ পুর ইউনিয়নের আরো প্রায় ২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। ঝুকিপূর্ণ এসব বাঁধ রক্ষায় জরুরী সংরক্ষণ কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড-০১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার।
এদিকে নদ নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রায় ৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে, সাগর পাড়ের চর কুকরী-মুকরী, ঢালচর, চর নিজামসহ অর্ধ শতাধিক চরাঞ্চাল। এতে গৃহবন্ধী হয়ে পড়েছে অর্ধলক্ষাধিক বাসিন্দা। গবাদী পশু পাথি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে চরবাসী।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গত ২দিন ধরে টানা ঝড়ো হাওয়ায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল হয়ে ওঠেছে। এতে মেঘনার পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করেছে। বাতাস অব্যহত থাকায় বড় বড় ঢেউ তীরে আছরে পড়ছে। ঢেউয়ের আঘাতে বুধবার বিকালে সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশার জালালের গুদা এলাকা দিয়ে প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ ছুটে যায়। পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাচনাইন আহমেদ হাছান মিয়া জানিয়েছেন, শেষ বিকালে বাঁধ ছুটে ২নং ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। রাতের জোয়ারে পানি আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মেঘনা পাড়েরর প্রায় সকল বাঁধই ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া জংশন এলাকা উন্মুক্ত বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢোকা অব্যাহত রয়েছে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। শত চেষ্টার পরও বাঁধগুলো রক্ষা করা যাচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ইউনিয়ন পরিষদ আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতখান উপজেলা সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সম্পূর্ণ বাঁধ ও ভবানীপুর ইউনিয়নের পুরোবাঁধ ধস দেখা দিয়েছে। ঢেউয়ের আঘাতে বাঁধের অধিকাংশ মাটি ভেসে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড-০১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার জানান, জালালের গুদা এলাকা দিয়ে প্রথমে ৩০ মিটারের মতো বাঁধ ছুটে যায়। সেখান দিয়ে পানি ঢুকে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইলিশা ছাড়াও দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ও ভবানীপুর ইউনিয়নের বাঁধগুলো মারাত্ম ঝুঁকিতে রয়েছে। মেঘনার পানি আটকানোর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরী কাজ করছে।
চর কুকরী-মুকরীর চেয়ারম্যান হাসেম মহাজন জানান, বিকালের জোয়ারে ঢালচর ও চর পাতিলার সম্পূর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এতে ঘরবাড়ির পাশাপাশি হাট-বাজারগুলো পানিতে নিমর্জ্জিত। চলাচল, রান্না খাওয়া সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। এছাড়া কুকরীর মূল ভূখন্ড ও নজরুল নর ইউনিয়নের অধিকাংশ পানির নিচে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top