আন্তর্জাতিক ॥ হটনিউজ২৪বিডি.কম : অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তরের অভিযোগে গত এক বছরে ৪৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। অফশোর কোম্পানী ও আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যাংকের মাধ্যমে দেশের বাইরে অর্থ পাচার করে তারা। পুঁজির বর্হিগমন নিয়ন্ত্রনের বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে। চীনের জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, অর্থপাচার সংক্রান্ত যেসব মামলা হয়েছে সেখানে দেখা যায়, এপর্যন্ত প্রায় ২০হাজার কোটি ইউয়ান (৩ হাজার কোটি ডলার) অবৈধভাবে স্থানান্তর হয়েছে।
সরকারের নিয়ন্ত্রন এড়িয়ে দেশের বাইরে অর্থপাচারের জন্য চীনা নাগরিকরা প্রায়ই আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যাংক ব্যবহার করে থাকে। তবে চলতি বছর চীনে সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতার কারণে ২০১৬ সালে পুঁজির বর্হিপ্রবাহ মন্থর রয়েছে। ইউয়ানের দূর্বলতার কারণে এটি আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে। মার্কিন মাল্টিন্যাশনাল ব্যাংকিং ফার্ম গোল্ডম্যানের এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, ইউয়ান মুদ্রার বর্হিপ্রবাহ জুনে যেখানে ৪হাজার ৯০০কোটি ডলার ছিল। জুলাইয়ে তা বেড়ে ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। তবে গত বছরের শেষার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) এ বর্হিপ্রবাহ অনেক উঠা-নামা করেছে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুসারে গত ডিসেম্বরে এ বর্হিপ্রবাহ বেড়ে সর্বোচ্চ ১৭হাজার১০০কোটি ডলারে পৌছায়। জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, অবৈধ অর্থপ্রবাহ নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে পিপল’স ব্যাংক অব চায়না ও স্টেট ফরেন এক্সচেঞ্জ প্রশাসন জোরালো ভূমিকা রাখছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।