সকল মেনু

মাথায় টিউমার নিয়ে কাতরাচ্ছে স্কুল ছাত্রী খাদিজা

unnamed নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর:  উচ্ছলতা, প্রাণচঞ্চলতা কিংবা নির্মল হাসি আনন্দ কিছুই স্পর্শ করতে পারেনি শিশু খাদিজার জীবন। দুঃসহ যন্ত্রণায় কাটছে তার শৈশব। আর কতদিন এ অসহ্য কষ্ট বয়ে বেড়াতে হবে, জানে না খাদিজা ও তার পরিবার। অসহ্য এক যন্ত্রণার বোঝা মাথায় নিয়েই জন্মেছে খাদিজা। বয়স যতই বেড়েছে যন্ত্রণার মাত্রা ততই বেড়েছে। বার বছরের শিশু খাদিজা কচুয়া উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে খাদিজা চতুর্থ। বয়স অনুযায়ী সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার কথা থাকলেও বর্তমানে খাদিজা পড়ছে চতুর্থ শ্রেণীতে। মাথার খুবই স্পর্শকাতর জায়গায় ভয়াবহ টিউমার তার জীবনকে এলোমেলো করে দিয়েছে।
গরিব বাবার সন্তান, তাই ঠিকভাবে চিকিৎসাও করানো সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বাবাও নেই। প্রাথমিকভাবে কবিরাজি চিকিৎসা করা হলেও কোনো কাজ হয়নি। পরে বাধ্য হয়ে একটি প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তারকে দেখানো হয়। তাও কবে দেখিয়েছেন বলতে পারেন নি মা রহিমা বেগম। এখন থেকে প্রায় আড়াই বছর আগে বাবা সিদ্দিকুর রহমান মারা যান।
তিন বছর বয়সে একবার ডাক্তার দেখানো হয়েছিল খাদিজাকে। তখন ডাক্তার বলেছিলো বাংলাদেশে এর কোনো চিকিৎসা নেই। ভারতের মাদ্রাজ নিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন তিনি। প্রাথমিকভাবে তিনি এটিকে টিউমার হিসেবে চিহ্নিত করেন। টাকার অভাবে আর ভালো কোনো চিকিৎসক দেখানো সম্ভব হয়নি বলে জানান মা রহিমা বেগম।
তিনি বলেন, জন্মের পর পর খাদিজার মাথায় ছোট্ট একটা ফোঁড়া দেখতে পাই। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটিও বড় হতে থাকে। অনেক কবিরাজ দেখিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ওর মাথায় যখন ব্যথা উঠে চিৎকার আর চেঁচামেচি করতে থাকে। সামনে যাকে পায় জড়িয়ে ধরে। তখন ভয়ানক আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে খাদিজা। প্রায় প্রতিদিনই মাথায় প্রচন্ড ব্যথা উঠে। কখনো শরীর ভালো লাগলে স্কুলে যায়। ক্লাসে বেশি সময় বসে থাকতে পারে না। মাথায় ব্যথা উঠলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
শরীফ ফকির, বিল্লাল হোসেন, কাউছার হোসেনসহ স্থানীয়রা জানান, খাদিজার বড় ধরনের অপারেশন করতে হবে। আর এ জন্যে যে টাকার প্রয়োজন তা এ দরিদ্র পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সরকারি বা কোনো ধর্নাঢ্য পরিবারের সহায়তার অনুরোধ জানান তার গ্রামের মানুষজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top