সকল মেনু

ভোলায় শতাধিক ঘর-বাড়ি বিলীন

indexএম. শরীফ হোসাইন, ভোলা: উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ভোলা সদরের ইলিশা ও রাজাপুর পয়েন্ট দিয়ে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ২ শতাধিক ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পুকুর ঘের ও আবাদি জমি। হুমকির মুখে রয়েছে ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২টি মসজিদ, একটি পুলিশ ফাড়ি, ব্যংকসহ বহু স্থাপনা। ঘরবাড়ি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছে নদীর তীববর্তি এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে, ভাঙ্গন রোধ থেকে রক্ষা এবং বরাদ্দকৃত জিও ব্যাক বৃদ্ধির দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
সরেজমিন ঘুরে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে  জানা গেছে, মেঘনার কুলঘেষা প্রচীনতম জনপথ ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নের ২ কিলোমিটার এলাকা দিয়ে গত বর্ষা মৌসূম ভাঙ্গন শুরু হওয়ার পর ভাঙ্গন রোধে চলতি বর্ষায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে কিছুটা ভাঙ্গন রোধ হলেও গত এক সপ্তাহ ধরে নতুন নতুন পয়েন্ট দিয়ে মেঘনায় ফের ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছেন মেঘনা পাড়ের মানুষ। তীব্র ভাঙ্গনে ঘরভীটা ও সহায় সম্বল হারিয়ে কোথায়ও আশ্রয় পাচ্ছেন না ভাঙ্গন কবলিতরা।
ভাঙ্গন কবলিত রোকেয়া বেম বলেন, কিছুদিন আগেও নিজ ঘরে রান্না-বান্না করেছি কিন্তু এখন নদীতে সব লইয়া গেছে, এখন আশ্রয় নেয়ার কোন জায়গা নেই।
রাজাপুরের বাসিন্দা লোকমান হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত তিন ভাঙ্গা দিয়েছে, এখন আশ্রয় নেয়ার কোন স্থান নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র ভাঙ্গন চলছে এতে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি বিরীন হয়ে গেছে। এখন ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলেও দ্রুত পুরো এলাকা বিরীন হয়ে যাবে। ভাঙ্গনের কারনে মানুষজন তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতেও সময় পাচ্ছে না।
একদিকে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আর অন্যদিকে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলে রাজপুর ও ইলিশা ইউনিয়নের বেশীরভাগ এলাকা হুমকির মুখে পড়েছে। ইতমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে  ২শতাধিক ঘরবাড়ি, ৩টি মসজিদ ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন স্থাপনা।
এ ব্যাপারে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশরী বাবুল আক্তার বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ইলিশা ও রাজাপুর পয়েন্ট দিয়ে তীব্র ভাঙ্গ চলছে। তবে আমরা ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা ভাবছি।
এদিকে ভাঙ্গন রোধে দ্রুক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top