সকল মেনু

টঙ্গীতে জঙ্গি আস্তানা : অস্ত্র-বোমাসহ আটক ৪

tongi_22305হটনিউজ২৪বিডি.কম : গাজীপুরের টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকায় মোক্তারবাড়ি রোডের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) দক্ষিণাঞ্চলীয় আমিরসহ ৪ জনকে আটক করেছে র‌্যাব।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, পিস্তুল, গুলি, জিহাদি বইসহ বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য এলইডি উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- জেএমবির দক্ষিণাঞ্চলের আমির মাহমুদুল হাসান, রংপুরের প্রাইম মেডিকেল কলেজের ছাত্র আশিকুল আকবর আবেশ, যশোরের এমএম কলেজের রসায়ন বিভাগের ছাত্র শরীয়ত উল্লাহ শুভ ও মাদরাসাছাত্র নাজমুস সাকিব।

র‌্যাব-১ এর গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ এর একটি দল টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকার মোক্তারবাড়ি সড়কের প্রবাসী আবু আহমেদের বাড়ির ৪র্থ তলায় অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা ও জেএমবির দক্ষিণাঞ্চলীয় আমির মাহমুদুল হাসানকে আটক করা হয়। তিনি সেখানে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন।

উপ-পরিদর্শক ইব্রাহিম হত্যা ও হোসেনী দালানে বোমা হামলায় যারা সম্পৃক্ত ছিল এবং যারা ইতোমধ্যে এ ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে তারা সবাই তার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া রংপুরের প্রাইম মেডিকেল কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্র আশিকুল আকবর আবেশকে আটক করা হয়। তিনি জেএমবি সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতেন। তার পরিকল্পনা ছিল আহতদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল স্টোরের মতো একটি বিভাগ করা। যাতে আহতদের চিকিৎসা দেয়া যায়।

এ ঘটনায় এমএম কলেজের রসায়ন বিভাগের ছাত্র শরীয়ত উল্লাহ শুভ ও মাদরাসা শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিবকে আটক করা হয়েছে। শুভ সফটওয়্যারের ওপর বিশেষ পারদর্শী। তিনি বিভিন্ন অ্যাপ ও সফটওয়্যার ব্যবহার করে যোগাযোগ করতো। আটককৃতরা র‌্যাবের নিখোঁজ তালিকায় রয়েছে কিনা, তা যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে এবং তাদের সঙ্গে আর কারা জড়িত তাদের ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাধারণত ৭ থেকে ৮ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এতে অস্ত্র চালনা, বোমা তৈরি এবং শারীরিক কসরতের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। রাজধানীতে বাসা ভাড়া নিয়ে নজরদারি এবং কড়াকাড়ি থাকায় তারা রাজধানীর পাশে আস্তানা গড়ে তোলে। আটককতৃরা এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলেও জানান তিনি।

অভিযানে ওই বাড়ি থেকে আটটি বোমা, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, শতাধিক রাউন্ড গুলি, দুটি কুড়াল, আটটি চাপাতি ও ছুরি, বেশ কিছু উগ্র মতবাদের বই ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে মুফতি মাহমুদ খান জানান।

সম্প্রতি গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার জন্য পুলিশ জেএমবিকে দায়ী করে আসছে। ওই দুই ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি আস্তানার খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top