সকল মেনু

মেধাতালিকায় থেকেও ভর্তি হয়নি ৩ লাখ শিক্ষার্থী

inter-290x181হটনিউজ২৪বিডি.কম : ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিল ১৩ লাখ ১ হাজার ৯৯ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে প্রথম মেধাতালিকায় ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছিল প্রায় ৯ লাখ ৭৪ হাজার শিক্ষার্থী। বাকিরা ছিল অপেক্ষমাণ তালিকায়।

মেধাতালিকায় থাকা এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভর্তি হয়েছে ৬ লাখ ৯৫ হাজার। অর্থাৎ মেধাতালিকায় থাকলেও পৌনে ৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ে ভর্তি হয়নি।
এদিকে আজ বিকেল ৫টায় প্রকাশিত হবে অপেক্ষমান তালিকার ফল। মূল মেধাক্রম অনুযায়ী, ভর্তির কাজ হয়েছে ১৮ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কত শিক্ষার্থী হলো, তার তথ্য দিয়েছে কলেজগুলো।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার তথ্য অনুযায়ী, ভর্তি না হওয়া এসব শিক্ষার্থীও অপেক্ষমাণ তালিকার মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি হবে। কারণ, এবার অনেক শিক্ষার্থী কয়েকটি করে কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে।

আবার একজন শিক্ষার্থী যে কয়েকটি কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিল, সেগুলোর প্রতিটির জন্যই আলাদা মেধাক্রম করা হয়েছে। এজন্য অনেক শিক্ষার্থী ভালো ফল করেও অপেক্ষমাণ তালিকায় পড়েছে কিংবা প্রথম দফায় প্রত্যাশিত কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়নি।

এদিকে প্রথম মেধাক্রমে থাকা অনেক শিক্ষার্থী একাধিক কলেজে মনোনীত হলেও পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ায় আসন খালি রয়েছে অনেক কলেজে। শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শূন্য আসনের বিপরীতে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই তালিকার মেধাক্রম অনুযায়ী ২৫ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত ভর্তির কার্যক্রম চলবে।

গত ১৬ জুন ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জ্যেষ্ঠ সিস্টেম অ্যানালিস্ট মনজুরুল কবীর বলেন, আজ বিকেলে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকার মেধাক্রম প্রকাশ করা হবে। শূন্য আসনের পাঁচ গুণ শিক্ষার্থীকে অপেক্ষমাণ মেধাক্রমে রাখা হবে। এরপর ২৮ জুন দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ মেধাক্রম প্রকাশ করা হবে।

১৬ জুন মেধাতালিকা প্রকাশের সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছিলেন, আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ২৫-২৭ জুনের মধ্যে ভর্তি করা হবে। অবশিষ্ট আসনে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তির সময় ২৮-৩০ জুন। ক্লাস শুরু হবে ১০ জুলাই। বিলম্ব ফি দিয়ে ১০ থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ভর্তি হওয়া যাবে।

মেধা তালিকায় শূন্য আসনের বিপরীতে ৯ লাখ ৬০ হাজারের মতো শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়। আর ৩ লাখ ২০ হাজারের মতো শিক্ষার্থীকে অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়।

আবেদনের সময় শিক্ষার্থীর দেওয়া মোবাইল নম্বরে ভর্তি ফলের একটি এসএমএস পাবেন। সেখানে একটি পিন কোডও থাকবে।

এ ছাড়া ভর্তির ওয়েবসাইটে (www.xiclassadmission.gov.bd) লগইন করে শিক্ষার্থীর নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, গ্রুপ/শিফট/ভার্সন ভিত্তিক নির্বাচিত বা অপেক্ষমান মেধাক্রম ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে।

আসনের বিপরীতে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই মেধানুসারে ভর্তি করতে হবে।

এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ভর্তির জন্য আবেদন করে ১৩ লাখ এক হাজার ৯৯ জন। আর ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেননি।

কলেজগুলোতে ২১ লাখ ১৪ হাজার ২৫৬টি আসন আছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, ৭ লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকবে।

গত ১১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার পর কলেজে ভর্তিতে অনলাইন ও এসএমএসে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ২৬ মে। ঘোষণা অনুযায়ী ৯ জুন আবেদন জমা নেওয়ার সময় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১০ জুন পর্যন্ত সেই সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা।
আবেদনকারী ১৩ লাখ এক হাজার ৯৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে অনলাইনে ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৯৪৭ জন এবং এসএমএসে ৪ লাখ ৫ হাজার ৮৬৮ জন আবেদন করেন।

এছাড়া মোট ভর্তির আবেদন পড়ে ৪৪ লাখ ৯২ হাজার ১৪০। এর মধ্যে অনলাইনে ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৭৮০টি এবং এসএমএসে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৩৬০টি।
টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএসে আবেদন ফি জমা দিয়ে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট বা এসএমএস করে ভর্তির আবেদন করেন।

অনলাইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০টি এবং এসএমএসের মাধ্যমে আরও ১০টিসহ মোট ২০টি কলেজে আবেদনের সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা।

সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে ৯ হাজার ৮৫ প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীরা আবেদন করেন। তবে ৪৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য কেউ আবেদন করেনি। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৩৬টি, মাদ্রাসা বোর্ডে ১০টি, ঢাকা ও রাজশাহী বোর্ডে একটি করে প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য কোনো আবেদন জমা পড়েনি।

ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রথম প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাতিল না করে দ্বিতীয়টিতে ভর্তি হওয়া যাবে না। কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করতে চাইলে তাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। একবার ভর্তি বাতিল করলে আর ওই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ থাকবে না। ভর্তি বাতিল করতে হবে ১৮ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top