সকল মেনু

ভোলায় ব্যস্ত দর্জি পাড়ার কারিগররা

8b4b9673-1004-4067-9442-db1067a877beএম. শরীফ হোসাইন, ভোলা: ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানি খুশি, তাই ঈদে নতুন জামা কাপড় থাকবে না তাকি হয়। পবিত্র-ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে নতুন জামা কাপড় তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে ভোলার দর্জি পাড়ার কারিগররা। তাদের হাতে যেন মোটেও সময় নেই। কেননা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তৈরি পোশাক সরবরাহ করতে হবে। পছন্দের পোশাক বানাতে দর্জির দোকানগুলোতে ভীড় করছেন সৌখিন ক্রেতারা। ভোলা শহরে বিভিন্ন মার্কেটে প্রায় ৩শ’ জনের মতো দর্জির কারিগররা তাদের কারখানায় পবিত্র-ঈদ-উ-ফিতরকে সামনে রেখে পোশাক তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছে। ভোলা শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে কারিগরদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রথম রোজা থেকে কিছুটা আবহাওয়া ভাল থকলেও ৪/৫ রোজার পর থেকে বৈরী আবহাওয়া থাকায় বেচা-কেনা একটু কম হলেও প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত দিন ২৪ ঘন্টা চলছে তাদের সেলাইয়ের কাজ। দর্জি কারিগরদের যেন দম ফেলার সময় নেই। কাটাঁর মাষ্টার কাপড়ের মাপ নিচ্ছেন, কাপড় কাটচ্ছেন, কারিগরা সেলাই করছে, কেউবা ইস্তারী করে অর্ডার বুঝিয়ে দেয়ার জন্য তৈরী জামা-কাপর সাজিয়ে রাখছেন।প্রথম রোজা থেকে অর্ডার নিলেও ২০ রোজা থেকে অর্ডার নেয়া কাজ বন্ধ করে দেয়া হবে। কারণ ঈদের আগে ক্রেতাদের অর্ডারের পোষাক বুঝিয়ে দেয়ার জন্য কাজ করে যেতে হয়। আর এই সব কাজ সময় মত দেয়ার জন্য দর্জি কারিগররা ও অনেক টেইর্লাসেও অতিরিক্ত লোক নিয়োগ করেছে। দোকানগুলোতে যেন নারী-পুরুষ উভয় পোশাক তৈরি করতে আসছে ক্রেতারা। কারণ একটাই কেনা পোশাক থেকে বানানো পোশাক ভালো হয়। এমন মন্তব্য করলেন দর্জি দোকানে আসা এক ক্রেতা।
শহরের ওয়েষ্টার্ণ পাড়া এলাকার বাসিন্দা রোকেয়া নামের এক ক্রেতা জানান, ঈদকে সামনে রেখে থ্রি-পিস বানাতে দর্জির দোকানে আসা। কারণ একটাই, দর্জির দোকান থেকে কাপড় সেলাই করলে সেই জামা পরতে ফিটিংয় হয়। বানানো ভালো হয় তাই আসা।
চনোয়াবাদ এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া (রাবু) নামের অপর এক ক্রেতা জানান, ঈদের সময় সবাই চায় নতুন পোশাক পরতে। আর রেডিমেড দোকানে একই নকশার অনেক পোশাক থাকে। তাই নিজের পছন্দ মতো কাপড় কিনে পোশাক বানাতে দেই দর্জি দোকানে।
ঈদকে সামনে রেখে জামার কাপড় কিনতে আসা ভোলা আঞ্চলিক পাসর্পোট অফিসের ষ্টাফ মারুফ, ইমরান ও নাজিম জানান, প্রতি বছর ঈদে আমি দর্জির দোকানের কাপড় কিনে জামা বানাই। কিন্তু এবছর জেন জামার কাপড়ে দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। আবার দর্জিরাও গত বছর থেকে এবছর মুজুরী একটু বেশি নিচ্ছে। যদি দামটা একটু কম থাকে তাহলে মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ভালো হত।
তবে দর্জি কারিগরা বলছে ঈদকে সামনে রেখে গত বছর থেকে এ বছর প্রচুর অর্ডার আসছে। অর্ডার প্রতি তারা ৩শ’ ৫০ থেকে ৪শ’ ৫০ টাকা করে মুজুরী নিচ্ছেন। এই অর্ডার সময় মতো দিতে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করে দিন রাত বিরতিহীন ভাবে কাজ করে ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক পোশাক তৈরির কাজ চালানো হচ্ছে। তবে এবার ১৫ রোজার পরে তারা আর অর্ডার নিবোনা বলে জানান দর্জি কারিগরা। এর কারণ জানতে চাইলে কারিগরা বলেন, এক দিকে বর্ষা ও বৈরী আবহাওয়া থাকায় বেঁচ-কেনা একটু কম ছিল। তাই এবার আমরা ১৫ রোজার পর্যন্ত অর্ডার নিব।
শহরের জিয়া মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় কয়েকটি দর্জি কারখানায় কারিগরদের সাথে আলাপকালে হেলাল, বেলালসহ আরো অনেকে জানান, দর্জি দোকানে পুরুষে চেয়ে মহিলারাই বেশি আসছে। তাই আমরা শেষ সময় এসে কাউকেই ফিরিয়ে দিচ্ছি না, কারণ সামনে ঈদ। সময় মতো কাজ শেষ করে কাস্টমারকে দিতে পারলেই আমরা খুশি।
এছাড়া শহরের জিয়া মার্কেটের রেমন্স টেইলার্সসহ কয়েকটি টেইলার্সে’র কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ কালে তাড়া জানান, ঈদ উপলক্ষে তাদের অর্ডার একটু খারাপ। তবে বৈরী আবহাওয়া কেটে গেলে অর্ডার ভাল পাবো বলে আশা করছি। আগে যাও অর্ডার নিয়েছি, সেগুলই শেষ করার কাজ চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top