সকল মেনু

ব্যাঙের ছাতার মতোন গড়ে উঠে রাতারাতি বাসা-বাড়ী

7efb849c-a67c-45f8-b41e-6d426d858d73রাইসুল ইসলাম, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ের ১৩৯৬ টির বাসার মধ্যে ৬০০ বাসা চলে গেছে অবৈধ দখলে। রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা আর স্থানীয় মস্তানদের নিয়ন্ত্রণে মোটা অঙ্কের টাকায় দীর্ঘদিন ধরে হাতবদল হচ্ছে এসব বাসাবাড়ি। এখন চলছে আবাসিক এলাকার চারপাশের ফাঁকা জায়গা দখল। দখল চলছে আর রেল প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে আছে। স্থানীয় রেল সূত্রমতে পার্বতীপুর রেল কাচারীর অধীনে চিলাহাটি থেকে আক্কেলপুর পর্যন্ত রেলের মোট জমির পরিমান ২ হাজার ৩শ ৮৫ একর। তারমধ্যে রেলওয়ের প্রয়োজনীয় অপারেশন ল্যান্ড ৯৭৯ একর বাদে বানিজ্যিক ৩২, কৃর্ষি ৩১৪, মৎস্য ৭০ ও নার্সারী ৪ একর। এসব জমির ৯০ ভাগই অবৈধ দখলে। তারমধ্যে ২শ দোকান-পাট, বাসাবাড়ীর লাইসেন্স থাকলেও কেউ খাজনা পরিশোধ করেনা বলে রেল কানুনগো দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

রেল অঙ্গন ঘুরে দেখা গেছে পৌর শহর থেকে সাব-রেজিষ্ট্রারী অফিস পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে ডেকোরেশন করা সারি-সারি অবৈধ দোকান-পাট ও বাসাবাড়ি। আদর্শ ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন প্রায় ১শ একর লোকো সেডের পূর্ব পার্শ্বে ও রেল স্টেশন পশ্চিম ঘিরে শত শত একর জমির উপর রেলের জমিতে গড়ে উঠেছে জনবসতি। স্টার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে রহমত নগর রেল কলোনীর ফাঁকা রেলের পতিত জায়গায় পাকা ঘরবাড়ী তোলার হিড়িক পড়েছে। হলদিবাড়ী রেল কলোনী, পাওয়ার হাউস রেল কলোনী, রহমত নগর , নিউ কলোনী, সাহেব পাড়া, বাবু পাড়ার ১২শ’ বাসাবাড়ীর মধ্যে ৭শ’ দখল করেছে বহিরাগতরা। রেল জংশন ষ্টেশনের পশ্চিম পার্শ্বে নিউ কলোনীতে দেখা যায়, রেলের কোয়াটার দখল করে অবকাঠমো পরিবর্তন করে প্রায় ১২ শতক জাগায় নির্মান করা হচ্ছে ঘর-বাড়ী। বাড়ীর গৃহকর্মী লাইজু (৩৭) জানায়, তার স্বামী মোঃ রফিকুল ইসলাম একজন সরকারী চাকুরিজীবি। বর্তমানে তিনি পার্বতীপুর মডেল থানায় কর্মস্থলে রয়েছেন।

জায়গাসহ কোয়াটার জনৈক মাবুদের কাছ থেকে পজেশন কিনে অবকাঠামো ভেঙ্গে নিজেদের মতন করে বাসা-বাড়ী নির্মান করছেন। অনেকের মত আমরাও এ কাজ করছি। এ ব্যাপারে রেলের ভূমি-দপ্তরের ফিল্ড কানুনগো, আই ও ডাব্লসহ অনান্যদের মৌখিক পারমিশন নিয়েছেন। এ ছাড়াও পৌরসভার হোল্ডিং খোলা হয়েছে বলে জানান। তবে ফিল্ড কানুনগো মনোয়ার হোসেন ও আই. ও ডাব্লু তহিদুল ইসলাম এ কথা অস্বীকার করে বলেছেন, প্রশ্নই উঠে না। আমরা কি এভাবে অনুমতি দিতে পারি? সম্পূর্ন গায়ের জোরে বে আইনীভাবে তারা এ কাজ করছে। এ ব্যাপারে জি আর পি থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
রেল ভূমি দপ্তরের কানুনগো মনোয়ার হোসেন, উর্দ্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী তহিদুল ইসলাম ও সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী জয়নাল আবেদিন জানিয়েছেন, দখলের ব্যাপারে জি আর পি থানায় শত শত অভিযোগ ও মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে কার্যকর ব্যবস্থা নেই। তবে শহরের বিশিষ্ট নাগরিকগণ বলেছেন, চোখের সামনে লুটের এ দূশ্য অসহনীয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top