সকল মেনু

ঘূর্ণিঝড়ে বই ভিজে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় ভোলার তজুমদ্দিনের শিক্ষার্থীরা

3259e52c-13aa-4e92-a964-4d4486eff1a1এম. শরীফ হোসাইন, ভোলা: লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া এক জনপদের নাম ভোলার তজুমদ্দিন। গাছপালা কিছুই অক্ষত নেই। রাস্তার উপর পড়ে আছে বিদ্যুতের তার। ভেঙ্গে পড়ছে একাদিক বিদ্যুতের খুটি। গাছের ডালে ঝুলে আছে টিনের চালা। যেদিকে চোঁখ যায় শুধু ভাংঙ্গা ঘরবাড়ি আর উপড়ে পড়া গাছপালা। উপজেলা সদরসহ আশপাশের ৩-৪ টি গ্রামের একই দৃশ্য। গত শনিবার ভোর রাতে রোয়ানুর প্রভাবে লন্ড-ভন্ড হয়ে যায় মানুষের ঘরবাড়ি, মসজিদ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পানিতে লেপ-তোষক, চাল, ডালসহ নষ্ট হয়ে যায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসেই নয়; সেই সাথে নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীর বই। দুপুরের কড়া রৌদ্র শিক্ষার্থীরা ভিটেমাটির উপরেই শুকুতে দেয় ভিজে যাওয়া বইগুলো।

বই ভিজে যাওয়ায় তারা দুশ্চিন্তাই ভুগছে তাদের পড়ালেখা নিয়ে। চাঁদপুর মহিলা মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা বেগম বলেন, আমার সকল বই ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। সরকারি বই বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না। এখন কি ভাবে আবার নতুন বই পাবো। ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র জোবায়ের জানায়, রাতে বৃষ্টির পানিতে তার সকল বই ভিজে গেছে। একই কথা জানানে, রিতু বেগম, টিটু, জিহান, পিয়াসা বেগম, হাসানুল বান্না, জাহিদ ও খাদিজা বেগম।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দীন বলেন, ‘আমরা তালিকা প্রস্তুত করতেছি। বইয়ের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া লেখার ক্ষতি হবে না। আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা করবো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top