সকল মেনু

শার্শায় ছাগল পালনে ভাগ্যের চাকা ঘুরছে শতশত নারী পুরুষের

sharsha pic 2
কে এম নাজির আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কৃষি পল্লী খ্যাত উপজেলার নাম যশোরের শার্শা উপজেলার পল্লী এলাকার অধিকাংশ মানুষ নিন্ম আয়ের ও মধ্যবিত্ত। অনেক কৃষক ও যুবকেরা সংসার চালাতো ভারতীয় গরু ব্যাবসা ও কৃষি কাজ করে। বিএসএফের কড়াকড়িতে বন্ধ কমে যায় গরু পারাপার।

ছাগল ও গরু পালন করে সংসার চলে তাদের। উপজেলায় ৬০৮টি স্থায়ী ছাগলের খামার সহ উ্পজেলায় ১৭৮টি গ্রাম্ইে প্রতিটি বাড়ীতে ছাগলের চাষ শুরু হয়েছে। বাড়ীতেই গড়ে তুলেছেন ছাগলের খামার। শত শত নারীর পরিবারে ফিরেছে সুদীন। বিভিন্ন জাতের ছাগলের পকল্প নিয়ে স্বলম্বি হচ্ছেন যুবক ও নারীরা শার্শা বেনাপোলে বানিজ্যিক ভাবে বেড়েছে অষ্টেলিয়া মেরী ও ক্রিষ্টিনা জাতের ছাগলের চাষ।

ছাগল পালন করে শার্শা বেনাপোলের শতাধিক নারী ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। বাড়ছে মাংসের যোগান উপকৃত হচ্ছে ছাগল চাষীরা ।স্বল্প পুজিতে অল্প সময়ে ছাগল চাষে অধিক লাভ দেখে দেশী বিদেশী জাতের ছাগল চাষে ঝুকছেন নারীরা। শার্শার সফল নারী মনুয়ারা বেগম ৫হাজার টাকায় মেরী জাতের ছাগল পালন করে দেড় বছরে লাভ করেছেন ৪লাখ টাকা। তার খামারে ছাগল আছে ১৫টি। বিদেশ ফেরত অনেক যুবক দেশের মাটিতে ছাগল পালন করে হয়েছেন স্বালম্বি। ঘুচছে যুবকদের বেকারত্ব। মনুয়ারার মতো শত নারীর সংসারে ফিরেছে সুদীন।

শার্শার মনুয়ারা বেগম বলেন.অভাবের সংসারে ৫বছর আগে রাজশাহী থেকে ৫হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন মেরী জাতের একটি ছাগল। ৬মাস পর পর দেয় ৩ থেকে ৪টি বাচ্ছা,৩০থেকে৪০কেজি মাংশ হয় এ জাতের ছাগলের। ৩৫থেকে ৪০হাজার টাকা বিক্রি হয় ছাগল। দুধ বিক্রি করে পাওযা যায় প্রতি কেজি ৬০ টাকা- একটি ছাগল থেকে ১৫ ছাগল হয়েছেন তার খামারে- এ থেকেই সংসারে ফিরেছে সুদীন ।

অল্প খরচে স্বল্প সময়ে অধিক লাভের প্রকল্প ছাগল চাষে স্বালম্বি যুবক মাহমুদুল হাসান তিনি বেনাপোলের শাখারীপোতা পল্লীতে গড়েছেন ক্ষুদ্র প্রকল্প ছাগলের খামার, সফল চাষী মাহমুদুল হাসান বলেন- কানাডা থেকে ছাগল চাষে প্রশিক্ষন নিয়ে দেশে ফিরেছি বিদেশে নয় এখন দেশের মাটিতে সপ্ন দেখতে চায় ।

ছাগল চাষী আব্দুল হালিম বলেন, ছাগল চাষ অধিক লাভজনক তবে এ চাষে প্রথমে কিছুটা খরছ আছে সরকার যদি আমাদেরকে সল্প সুধে ঋণ দেয় তাহলে সেটা আমাদের মতো গরীব চাষিদের জন্য আশার আলো দেখাবে ।

উপজেলা প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকতা জয়দেব কুমার সিংহর বলেন, ছাগল পালনে খামারিদেরকে উপজেলা প্রানী সম্পদ অধিদপ্তর পক্ষ থেকে প্রশিক্ষন ও উদ্ভুদ্ধ করা হয়ে থাকে আর এ কারনে উপজেলাতে বাড়ছে ছাগলের চাষ উপকৃত হচ্ছে চাষীরা।নাভারনের নজরুল ইসলাম বলেন কাঠের ব্যাবসা করি,আর বাড়িতে বিদেশী ছাগল পালি খামারে এখন অনেক ছাগল আমার ছাগল পালনে লাভ আছে অনেক ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top