সকল মেনু

ফরিদপুরে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হতে পারে

6635104f-654a-4226-a3a6-103157a02f93শাহাদাত হোসেন তিতু,ফরিদপুর প্রতিনিধি: প্রচন্ড তাপদাহে ফরিদপুরে পাটের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হতে পারে। প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত,সেচ ও আদ্রতা না পাওয়ায় ফলন বির্পযয় হতে পারে। মান সম্পন্ন পাটের ফলন না পাওয়া, উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়া,পাট চাষীদের শংকিত করেছে। ক্ষতিগ্রস্থ পাট চাষীদের কৃষি কার্ডের মাধমে ভতুর্কি দেওয়া যেতে পারে।
পাট রোপনের ৪০-৬০ দিনের মধ্যে পাটের গ্রোথের সময় এবং এই সময় সঠিক বৃষ্টিপাত ও আদ্রতার প্রয়োজন হয়ে থাকে।এবার সোনালী আঁশের জেলা ফরিদপুর অনাবৃষ্টির কারণে মানসম্পন্ন পাট আবাদ থেকে পিছিয়ে পরতে পারে। পাট নিরানি ও বাছাই কাজে প্রচন্ড তাপদাহে শ্রমিকের কাজ করতে না পারা, বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অতিরিক্ত ব্যয়ে সেচ দেওয়া,সাথে সাথে শ্রমিকের মুল্য বেশী হওয়ায় পাটের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় পাটের ফলন নিয়ে শংকিত চাষীরা, মৃল্য পাওয়া নিয়েও শংশয় আছে তাদের।
পাট গবেষনা ইন্সিটিউিট,ফরিদপুরের,উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকতা,কৃষিবিদ মনিকা রানী দেবনাথ জানান, অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি দুটোই পাটের জন্য ক্ষতিকর, পাট চাষাবাদে বছরে ১২০০-১৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ৮০-৯০ ফারেনহাইট উঞ্চতার ও ৮০ থেকে ৯০ পাসে›ন্ট আর্দ্রতার প্রয়োজন হয়ে থাকে। পোকা মাকরের আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে পোকা দমনে ব্যবস্থা নিলে ও বেশী বেশী সেচ দিতে পারলে পাটের আবাদ ভালো করা সম্ভব।
পাট অধিদপ্তর,ফরিদপুর অঞ্চলের উর্দ্ধতন সহকারী প্রকল্প পরিচালক, কৃষিবিদ মরিয়ম বেগম বলেন, দিনে দিনেই পাটের আবাদ বাড়ছে,এবছর খরায় ও সময়মত বৃষ্টিপাত না হওয়াতে উৎপাদন খরচ বেশী হবে। লোকসানের মুখে পড়বে চাষীরা। চাষীদেরকে কৃষি কার্ডেও মাধ্যমে ভুতুকি দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, গত বছরের ৭৭ হাজার ২৩৯ হেক্টর জমীতে আবাদ করে ৭ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪শ ৯০ বেল পাট পাওয়া গেছে । এবছর ৭৭ হাজার ২শ ৫৯ হেক্টর জমী আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ৮২ হাজার ৪৯ হেক্টর ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top