সকল মেনু

নদীর তীর ভাঙন রোধের কাজে আর বিলম্ব নয়

PM_Hasina_sm_454448468নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২৩ মার্চ : নদীর তীর ভাঙন রোধে কোনো কাজ শুরু হলে আর বিলম্ব করা যাবে না। একটানা ভাঙন রোধের কাজ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠকে চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নদীর তীর ভাঙন রোধ প্রকল্প একটানা সম্পূর্ণ করলে খরচ কম হবে। অন্যদিকে বিলম্ব দিয়ে প্রকল্পের কাজ করলে আর্থিক ক্ষতি বেশি হয়। সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য জানান।

২৭৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে ভোলা জেলার সদর
উপজেলাধীন রাজাপুর ও পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন রক্ষার্থে তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্প একনেক বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে ভোলা সদরে সাড়ে তিন কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন করে প্রকল্প এলাকার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙন থেকে রক্ষা করা হবে।

সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন সমস্যা নিরসনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আলীগঞ্জে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ৮টি ১৫তলা ভবনে ৬৭২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।  এ লক্ষ্যে  ৩৯৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘নারায়ণগঞ্জের আলীগঞ্জে সরকারি
চাকরিজীবীদের জন্য ৮টি ১৫তলা ভবনে ৬৭২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ১৪৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে বলেন, এক হাজার বর্গফুট ফ্ল্যাটে আর তিনটি নয়, দু’টি বাথরুম থাকবে। এ হিসেব করেই ৬৭২টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করতে হবে।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো, ‘রাজশাহী বিসিক শিল্প নগরী সম্প্রসারণ’ প্রকল্প। এতে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে  ৫৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ৫৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘জলাভূমি তালিকা ও স্থায়িত্বশীল জলাভূমি ব্যবস্থাপনার ফ্রেমওয়ার্ক উন্নয়নসহ হাওর ও নদীর ইকোসিস্টেমের আন্ত:সম্পর্ক বিষয়ক সমীক্ষা’ প্রকল্পও অনুমোদন পায়।

‘বৃহত্তর যশোর জেলার মৎস্য উন্নয়ন’ প্রকল্পে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে  ৩৪ কোটি ১২ লাখ টাকা। বৃহত্তর যশোর অঞ্চলের বিল, হাওর, খাল, মরা নদী এবং পুকুর রয়েছে। এসব জলাশয় সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে এ অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ আরও সমৃদ্ধ করা হবে।

বর্তমানে এই অঞ্চলে ৩৫ হাজার হেক্টর আয়তনের ১০ হাজার পুকুর ও দিঘির মাধ্যমে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন মৎস্য উৎপাদন করা হবে। ৩৫ হাজারটি গলদা চিংড়ি ঘেরের মাধ্যমে ১০ হাজার মেট্রিকটন চিংড়ি এবং দুইশ’ টন কার্প জাতীয় মৎস্য পোনা উৎপাদন করা হবে।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top