সকল মেনু

ব্যানার-ফেস্টুনের আবরণে ঢেকে গেছে রাবির ফটক

৯.নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১৯ মার্চ : ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশ দিয়ে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এ মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি প্রধাান ফটক। এ ফটকগুলো স্থানীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার দলীয় নেতাকর্মীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোর ব্যানার-ফেস্টুনে প্রায় ঢেকে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ও বিনোদপুর গেটে কিছুটা কম হলেও মূল ফটকে ব্যানার-ফেস্টুন ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। দীর্ঘদিন টাঙিয়ে রাখায় প্রধান ফটকের সৌন্দর্য্যসহ স্বকীয়তা হারাচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতায় মূল ফটকে ব্যানার ফেস্টুন দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে ৪০টি, বিনোদপুর ফটকে ৬টি ও কাজলা গেটে ৭টি ব্যানার টাঙানো রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ ব্যানার ফেস্টুনই স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের। মূল ফটকে দেখা যায়, গত ৫ মার্চ মহানগর যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজশাহী জেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মাহমুদ হাসান ফয়সাল, যুবলীগ নেতা মো. নাহিদ আক্তার নাহান, মামুন অর রশিদ মাহবুব, নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা সবুর আলী বাবু, মো. সাব্বির আলী, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শহীদুল ইসলাম মিলন, মো. আমিনুল ইসলাম শাহীন, রবিউল ইসলাম উজ্জলসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীদের ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে।

এছাড়াও সঙ্গীত বিভাগ, অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যান্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স, ইংরেজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিসংখ্যান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ব্যানার রয়েছে।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আয়াতুল্লাহ খোমেনী  বলেন, ‘ছাত্রদের দাবি সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যানার টাঙাতে গেলে প্রশাসন বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করে। কিন্তু সরকার দলীয় কোনো ব্যানার টাঙালে প্রশাসন নিরব থাকে। এসব কারণে স্বকীয়তার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে। যতো দ্রুত সম্ভব এই ব্যানারগুলোর ব্যাপারে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসা মেহেরপুর গাংনী মডেল স্কুলের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্কুলের বাচ্চা ছেলেদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে নিয়ে এসেছি। যাতে ওরা ছোটো থেকেই স্বপ্ন দেখতে পারে। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে বিভিন্নভাবে বহিরাগত নেতাদের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কোনোভাবে কাম্য নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ছাদেকুল আরেফিন মাতিন বলেন, ‘নিষেধ সত্ত্বেও ওরা নিয়ম ভঙ্গ করে ব্যানার টাঙিয়ে রাখে। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, ‘স্টুয়ার্ট শাখাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এগুলো সরিয়ে ফেলা হবে।’
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top