সকল মেনু

পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে গেছে পাইলিং

indexভোলা প্রতিনিধি: ভোলার মেঘনা নদীর পানি হঠাৎ উত্তাল হয়ে উঠেছে। অসময়ে পানির স্রোতের তীব্রতা বাড়ছে। বাড়ছে ভাঙনও। মেঘনার প্রবল স্রোতের তোড়ে নদী তীরবর্তী ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নে স্থাপিত ফেরি ঘাটের পণ্টুনের পাইলিং ভেঙে গেছে। ফলে ফের হুমকির মুখে পড়েছে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরি সার্ভিস।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো মুহূর্তে মেঘনার ভাঙনের মুখে পড়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ ২১ জেলার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরি চলাচল। এ রুটে চলাচলকারী যানবাহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী, ফেরির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ স্থানীয়রা দ্রুত পাইলিং মেরামতের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে, বিআইডাব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা আজ  রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস  দিয়েছেন।
সকালে ভোলা শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ফেরি ঘাটে সরেজমিনে দেখা যায় মেঘনার প্রবল স্রোত। শোনা যায় পানির গর্জন। ফেরি ঘাটের পল্টুনের র‌্যামের প্রান্তভাগে প্রায় ৪-৫ ফুট পাইলিং ভেঙে গেছে। এ সময় ফেরিঘাটে কথা হয় স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক আমির হোসেন, ব্যবসায়ী আজাদ ও জসিমের সঙ্গে। তাঁরা জানান, এখন পূর্ণিমান-জো চলছে। এ কারণে মেঘনা নদীর পানি উত্তাল হয়ে উঠেছে। গত ৩-৪ দিন ধরে পানির তীব্রতা বেড়েছে। পানির তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি ঘাটের পাইলিংয়ের কিছু অংশ ভেঙে গেছে।
তারা আরো জানান, আগামী ২-১ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরি  ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে মেঘনার তীব্র স্রোতের  ফলে ফেরি ঘাট ভেঙে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আলম জানান, মেঘনার তীব্র ¯্রােতের কারণে ভোলা সদরের ইলিশা ফেরি ঘাটের পল্টুনের র‌্যামের প্রান্তভাগে পাইলিংয়ের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ এ রুটটি। তিনি আরো বলেন, পানির যে স্রোত, তাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে ফের ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মেঘনার তীব্র ভাঙনের মুখে এর আগে এ রুটটি অন্তত ৫ বার স্থানান্তর করা হয়েছিল। বর্তমানে এ রুটে কনকচাঁপা ও কৃষানী নামে দুইটি ফেরি চলাচল করছে। এ রুটে আরো একটি ফেরি স্থাপন জরুরি বলেও মনে করেন ফেরির এ কর্মকর্তা।
ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরি ঘাট পরিদর্শন শেষে বিআইডাব্লিউটিএ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেব জ্যোতি বড়ুয়া ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ইউনুছ জানান, মেঘনা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে ফেরির পল্টুনের পাইলিং ভেঙে গেছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে এ রুটটি। তাই দ্রুত এটা মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। খুব দ্রুত ইলিশা ফেরি ঘাটের পল্টুনের পাইলিংয়ের কাজ শুরু করে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকিম।
তিনি বলেন, ভোলার মেঘনা ভাঙন রক্ষায় ৩শ’ কোটি টাকার কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। সেটাও দ্রুত শুরু করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top