সকল মেনু

উন্নয়নের জন্য সবার সমান অবদান রাখা দরকার : প্রধানমন্ত্রী

c364b5c2-0a06-422b-a834-e012adca2ee3হটনিউজ ডেস্ক:  আমরা স্বাধীন। আমরা উন্নতি করতেই চাই। উন্নয়নের জন্য সবার সমান অবদান রাখা দরকার। অধিকার মর্যাদায় নারী পুরুষ সমান সমান- এতে কোনো সন্দেহ নেই।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী, স্পিকার, সংসদ নেতা, সংসদ উপনেতা নারী এটা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে দেখা যায় না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বার বার বলে গেছেন নারীর অধিকারের কথা। আমাদের মা-বোন যাদের উপর পাকিস্তানিরা একাত্তরে অত্যাচার করেছিলও তাদের স্মরণ করি। মুক্তিযুদ্ধের পরে মা-বোনেরা বিভিন্ন রোগ অসুখে ভুগছিল বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে তাদের চিকিৎসা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মা একাত্তরের সেসব নারীদের সুস্থ করেছিলেন। তারা সুস্থ হওয়ার পর পরিচয় দিতে চাইতো না। বিয়ের জন্য সমস্যা হতো। বাবার নাম বলতে লজ্জা পেতো। জাতির পিতা বলেছিলেন, লিখে দাও বাবার নাম শেখ মুজিবুর রহমান। বাড়ি ৩২ নম্বর, ধানম-ি।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে যারা মোড়লগিরি করে বেড়ায় সেসব দেশে নারী সরকার প্রধান দেখা যায় না।
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় নারীর জন্য প্রতিটি স্তরে ৩০ ভাগ সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করেছি। উপজেলাতে, মেয়র নির্বাচনেও এই সংরক্ষিত আসন রয়েছে। এইভাবে নারীদের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। এ সুযোগ তাদের কাজে লাগাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতীয় সংসদে মেয়েদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। চাকরি ক্ষেত্রেও নারীদের ১০ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি।
মেয়েদের হাতে কাজ দিলে সেটা সুনিপুণভাবে করে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ’৯৬ সালে সরকারে এসে দেখি মেয়েরা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে নেই। প্রথম নারী ডিসি, এসপি, সচিব করতে গিয়ে প্রচণ্ড বাধা আসে। হাইকোর্টে কোনো নারী জজ ছিল না। প্রথম নারী জজ দিতেই হবে একথা চিফ জাস্টিজকে বললাম। দুর্নীতিতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা কম জড়ায় বলেও যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিতা মা-বোনদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মর্যাদা দিয়েছি। মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করেছি। স্বামী পরিত্যক্তাদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করেছি। নারী উন্নয়ন নীতি করেছি। ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার করা হচ্ছে। যৌতুক নিরোধ আইন আরও সুযোপযোগী করা হচ্ছে। নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম এনডিসি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top