সকল মেনু

২০ মিনিটেই ঢাকা থেকে গাজীপুর পৌঁছবে বাস!

৩৫.নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ৮ মার্চ:  বিআরটি নামে পৃথক দুটি লেনে ঢাকা-গাজীপুর রুটে চলবে বাস। আসা এবং যাওয়ার জন্য থাকবে ১৪০টি দ্রুতগামী বাস। গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ২৫টি স্থানে এ বাসে যাত্রী উঠানামা করবে। কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত বাস ছাড়া আর কেউ এই লেন ব্যবহার করতে পারবেন না। এর জন্য জেল-জরিমানারও বিধান করা হয়েছে। মন্ত্রিসভা ‘বাস র্যা পিড ট্রানজিট (বিআরটি) আইন-২০১৬’ এর খসড়া নীতিমালা অনুমোদন করেছে। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিআরটি নির্মাণের পর ২০ মিনিটের মধ্যে রাজধানীর বিমানবন্দর স্টেশন থেকে গাজীপুর পর্যন্ত যাতায়াত করা যাবে। এই রুটে বিদ্যমান ছয়টি লেনের দুটিকে আলাদা করে দেয়া হবে। ওই লেনগুলো দিয়ে শুধু বিআরটির বাস চলবে।’

২০১২ সালের ২০ নভেম্বর বিআরটি নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, বিআরটি আইনের আওতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে। লাইসেন্স ছাড়া বিআরটি নির্মাণ ও পরিচালনায় ১০ বছর কারাদণ্ড, ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া হবে। এছাড়া অনুমোদন ছাড়া লাইসেন্স হস্তান্তর এবং অনুমোদন ছাড়া বিআরটি পাস ও টিকেট বিক্রি বা টিকেট জাল করলেও ১০ বছর কারাদণ্ড, ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো জানান, বিআরটি’র কোনো কর্মচারী এসব অপরাধ করলে তাকে দুই বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হবে। বিআরটিতে চলাচলের সময় কেউ দুর্ঘটনার স্বীকার হলে ক্ষতিপূরণ পাবেন।

শফিউল বলেন, ভাড়া নির্ধারণে সরকার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেবে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ এখানে কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া সাত সদস্যের কমিটি ভাড়া যাচাই করবে। বিআরটি যাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে বীমা করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যাত্রী পরিবহনের ভাড়ার তথ্য বহুল প্রচারিত পত্রিকায় প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া বিআরটি’র প্রতিটি কোচে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী ও নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। তিনি আরো বলেন, বিআরটি নির্মাণ, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে ভূমি অধিগ্রহণ করা যাবে। তবে ভূমি অধিগ্রহণের আগে কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন বা রাতারাতি সেখানে স্থাপনা তুললে ক্ষতিপূরণ পাবে না বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।

এদিকে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘সুপ্রিম কোর্ট জাজেস (রিমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলাইজ) (সংশোধন) আইন ২০১৬’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের উত্সব ভাতা দেয়া হয় সার্কুলারের মাধ্যমে, যা আইনে ছিল না। মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে নববর্ষ ভাতাও সার্কুলারের মাধ্যমে দেয়া হত। তবে বিচারপতিরা অনুরোধ করেছেন আইনের মাধ্যমেই যেন এসব ভাতা দেয়া হয়। তাই আইনে এই দুটি বিষয় সংযোজন করা হয়েছে।’ এছাড়া ভারতের সঙ্গে কারিগরি সহায়তা সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য এ সংক্রান্ত খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই চুক্তি হলে ভারত থেকে বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের কারিগরি সহায়তা নিতে পারবে।

হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top