সকল মেনু

শেষ হাসিটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের

১১.ক্রীড়া ডেস্ক,  হটনিউজ২৪বিডি.কম ১৪ ফেব্রুয়ারি :   বিগ স্কোর হয়নি। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচের জন্য যে রোমাঞ্চ দরকার তা ঠিকই ছিল। দুই দলের লড়াকু মনোভাব আর শিরোপা জয়ের যে চেষ্টা, তা মন ভরিয়ে দিয়েছে ক্রীড়ামোদীদের। রোমাঞ্চ, উত্তেজনা আর আবেগ জয় করে শেষ পর্যন্ত শিরোপা-খরা কাটাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

যুব বিশ্বকাপের আগের দশটি আসরে শিরোপা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ‘সোনার হরিণ’। ২০০৪ সালে বাংলাদেশে শিরোপার কাছাকাছি গিয়েও রানারআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ক্যারিবিয়ানদের। এবার সেই বাংলাদেশেই শিরোপার আক্ষেপ ঘুচল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে হারিয়েছে ভারতকে।

যুব বিশ্বকাপের আগের দশ আসরে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া তিনটি করে শিরোপা জিতেছিল। এবার অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণ না করায় ভারতের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। ফাইনাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সঙ্গে খেলে সে পথেই হাঁটছিল ভারতের কিংবদন্তি রাহুল দাব্রিড়ের শিষ্যরা। কিন্তু শেষ লড়াইয়ে ভাগ্যদেবী সঙ্গে না থাকায় চতুর্থ শিরোপার অপেক্ষা আরো  বেড়ে গেল ভারতের।

রোববার সবুজ ঘাসের উইকেটে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক শিমরন হেটমায়ার। ফলও পেয়ে যান দ্রুত। স্কোরবোর্ডে ৫০ রান তুলতেই ৫ উইকেট নেই ভারতের। পেসারদের দাপট ও ফিল্ডারদের দূরন্তপণায় ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিল করছিল।

ভারতের হয়ে পুরো টুর্নামেন্টে একাই লড়াই করে যাওয়া সরফরাজ খান এদিনও দলের ত্রাতা। আইপিএলে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলা এ ক্রিকেটার নিজের অভিজ্ঞতা পুরোটা ঢেলে দেন এ ম্যাচে। তুলে নেন চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ৫ হাফ সেঞ্চুরি। ৫১ রানে আউট হলেও দলের রানকে নিয়ে যান ১২০-এ। ৮৯ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজিয়ে জনের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন।

৬ ম্যাচে ৩৫৫ রান করে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সারফরাজ খান। তার বিদায়ের পর ভারতের স্কোর আর বড় হয়নি। ১৪৫ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস ২৯ বল আগে।  ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন পেসার আলজারি জোসেফ ও রায়ান জন। ২টি উইকেট নেন কেমো পল।

১৪৬ রানের লক্ষ্য খুব বড় ছিল না। কিন্তু ভারতের বোলারদের নিখুঁত বোলিংয়ে রানটা পাহাড়সমান বানিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৮ রান তুলতেই ২ ওপেনার পোপে (৩) ও টেভিন ইমলাচ (১৫) সাজঘরে। অধিনায়ক হেটমায়ার ২৩ রান তুলে ধাক্কাটা সামাল দিলেও ভারতের স্পিনার মায়াঙ্ক ডাগারের ঘূর্ণিতে আবারও পিছিয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাঁহাতি এ স্পিনার একে একে তুলে নেন ৩ উইকেট। তার বোলিং তোপে একে একে সাজঘরে ফেরেন হেটামায়ার (২৩), স্পিঙ্গার (৩) ও গুলি (৩)।

৫ উইকেট তুলে নিয়ে তখন স্বরূপে ভারত। কোনোভাবেই শিরোপা হাতছাড়া করবে না তারা। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে তখনো ৬৯ রানের বড় লক্ষ্য। সে লক্ষ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নায়ক ক্যাচি কার্টি। গ্রুপপর্ব থেকে শুরু করে সেমিফাইনাল পর্যন্ত ক্যারিবীয় এ যুবার সর্বোচ্চ রান ছিল ২২। বড় রান করতেই পারছিলেন না ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। হয়ত বিগ ফাইনালের জন্য রানটা জমিয়ে রেখেছিলেন। অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংস খেলে দলকে শুধু ম্যাচই জেতাননি; ক্যারিবিয়ানদের বহু দিনের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। তার সঙ্গে ৪০ রানের ইনিংস খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন কেমো পল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

ভারত ১৪৫/১০ (৪৫.১)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪৬/৫ (৪৯.৩)

হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top