সকল মেনু

মুক্তা হত্যা মামলা তদন্তের প্রথম দিন ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

netrokona-map-sm20130506045_3862_0নেত্রকোনা প্রতিনিধি:আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থার তদন্ত দল নেত্রকোনার শহীদ বদিউজ্জামান মুক্তা হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেছে। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থানীয় সার্কিট হাউজে তদন্ত দল ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করেছেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহান কবির। তিনি আরো জানান, শনিবার মুক্তা হত্যার সংশ্লিষ্ট ঘটনাস্থলসহ আসামীদের অন্য আরো হত্যাকান্ড , নারী ধর্ষন, বাড়িঘরে লুটতরাজ করে আগুন দেয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হবে। পর্যায়ক্রমে সংশ্লিষ্ঠ সকলের সাক্ষ্য নেয়া হবে। তিন সদস্যের তদন্ত দলের অপর দুইজন হচ্ছেন, হরি দেবনাথ ও আতাউর রহমান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান বিকালে সার্কিট হাউজে মুক্তিযুদ্ধা, সুশিল সমাজের লোকজনের সাথে মতবিনিময় করার সময় জানান, দ্রুত মুক্তা হত্যার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত কাজ শেষ করা হবে। এসময় তিনি তথ্য প্রমানাদি দিয়ে সবার সহযোগীতা চান।মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ২৮ কার্তিক সকাল প্রায় ১১টার দিকে সদর উপজেলার নরেন্দ্র নগর গ্রামে শহীদ বদিউজ্জামান মুক্তাকে বিরামপুর বাজার থেকে ধরে নিয়ে যায় রাজাকার, আলবদর ও আল সামস বাহিনীর লোকজন। পরে তারা নির্যাতন করে বদিউজ্জামান মুক্তাকে ভোরে জেলা শহরের মোক্তারপাড়া ব্রীজে গুলি করে হত্যা করে। এই অভিযোগ এনে ১২জনের নামোল্লেখসহ আরো অনেককে আসামি করে ২০১০সালের১২ আগষ্ট নেত্রকোনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-১ এ মামলা করেন মুক্তার ভাতিজা আলী রেজা কাঞ্চন। আদালত মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠায়।
আসামীরা হচ্ছেন, মোক্তারপাড়া এলাকার মোঃ ওবায়দুল হক তাহের (৬০), আতাউর রহমান ননী (৫৯), শহীদ উল্লাহ পিন্টু (৬২), শহীদুর রহমান মাজু (৫৮), মোঃ ফজলুর রহমান ((৬৮),মোঃ ইউসুফ (৬১), মিষ্টার মিয়া (৫৮), মোঃ মানিক মিয়া (৫৮), আব্দুর রশিদ (৬০), ফরিদ আহম্মদ , কুড়পড় এলাকার মোঃ হাফিজ উদ্দিন মীর (৮০) ও সদর উপজেলার মেদনী গ্রামের মোঃ আব্দুল ওয়াহাব খান রনু । এর মধ্যে শহীদুর রহমান মাজু ও মোঃ ইউসুফ মামলা দায়েরের পর মারা গেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top