সকল মেনু

যা বললেন শপথের পর মন্ত্রীরা

 নিজস্ব প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.কম :  সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভায় রদবদল হয়েছে। এতে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে তিনজন এবং প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দুজন শপথ নিয়েছেন। এর মধ্যে নতুন সদস্য তিনজন।

sopoth1436888372
পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা নুরুল ইসলাম বিএসসি। এ ছাড়া নতুন প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ তারানা হালিম ও লালমনিরহাটের সাংসদ নুরুজ্জামান আহমেদ।

সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান। ইফতারের আগেই মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হয়। মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা ও প্রধানমন্ত্রীসহ আগত অতিথিরা বঙ্গবভনেই ইফতার করেন।

শপথ গ্রহণের পর পরই মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তর পুনর্বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
নুরুল ইসলাম বিএসসিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ইয়াফেস ওসমানকে আগের মন্ত্রণালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং আসাদুজ্জামানকেও আগের মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তারানা হালিমকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং নুরুজ্জামান আহমদকে খাদ্য মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়েছে।

শপথ গ্রহণ শেষে বঙ্গভবনের ভিতরে এবং বাইরে সাংবাদিকদের সামনে নতুন মন্ত্রীরা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তারানা হালিম বলেন, ‘আমি সাংগঠনিকভাবে যখন যে দায়িত্ব পেয়েছি, তা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। এখন আমার ওপর আরো অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। আমি সবার সহযোগিতা নিয়ে অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাওয়ার চেষ্টা করব।’ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে গাড়িতে বসে হাস্যোজ্জ্বল মুখে তারানা বলেন, ‘খুবই ভাল লাগছে।’

মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পেরে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানিয়ে নূরজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ। আমি এখন বড় দায়িত্ব পেয়েছি। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বের জায়গা থেকে কাজ করে যাব। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আমরাও তার নেতৃত্বে দেশের মানুষের জন্য কাজ করব।’

নূরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, ‘দায়িত্ব পালনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’ বর্তমান সরকারের তো সামনে সাড়ে তিন বছরেরও কম সময় আছে। এই অল্প সময়ে দায়িত্ব পালন করাকে চ্যালেঞ্জ মনে করছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, এটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করি না। দায়িত্ব পেয়েছি, এখন সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে সমাধান করার উদ্যোগ নেব।’

প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আগে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও মনে করি পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্বই পালন করেছি। তখন আমার মাথার ওপর একটি বটবৃক্ষ (প্রধানমন্ত্রী) ছিল। আমি তার কাছে সকল প্রকার সাহায্য, সহযোগিতা ও পরামর্শ পেয়েছি। আর তার (প্রধানমন্ত্রী) দায়িত্ব আগেও যেমন ছিল, এখনো তেমন আছে।’

ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘অনুভূতির খুব পরিবর্তন হয়নি। কারণ আগে যে কাজ করেছি, এখনো সে কাজই করব। আগেও সিনসিয়ারলি কাজ করেছি। এখনো সিনসিয়ারলি কাজ করব। নতুন করে তো আর পাখা গজাবে না।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমি তো প্রধানমন্ত্রীকে বলিনি যে আমাকে মন্ত্রী করতে হবে। তিনি যা ভালো মনে করছেন, তাই এটা করছেন।’

গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এরপর একই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান এ এইচ মাহমুদ আলী ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান মো. নজরুল ইসলাম হিরু। সে সময় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবকে সরিয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এদিকে হজ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে গত বছরের ১২ অক্টোবর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে অপসারণ করা হয়। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়ে দফতরবিহীন মন্ত্রী করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top