সকল মেনু

বেনাপোল বন্দর শ্রমিক ও দালালদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১০, আটক ৭

 unnamedযশোর প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ, দলাল ও বন্দর শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় বেনাপোল রনক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। এতে পুলিশ-শ্রমিক-দালাল ও সাংবাদিকসহ অন্তত দশ জন আহত হয়েছেন।
রোববার বিকেল ২টার দিকে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ভবনে এ সংঘর্ষ শুরু হয়ে পুরো বন্দরনগরী ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বেনাপোল বন্দর হ্যাল্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ কাউন্সিলার তার এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যায়। এ সময় ওই পাসপোর্ট যাত্রীকে অহেতুক প্রশ্ন করে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়।
এক পর্যায়ে ইমিগ্রেশন পুলিশ শ্রমিক নেতা রাশেদকে দালাল আখ্যায়িত করে আটকে রেখে মারধর করে। বিষয়টি সাধারণ শ্রমিকরা জানতে পেরে সংঘবদ্ধ হয়ে জোরপূর্বক ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করে। এতে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও গ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
ঘটনাটি ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল পোর্ট থানা ও শার্শা থানাকে অবহিত করলে ওই দুই থানার পুলিশ অ্যাকশানে নামে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ৩০/৩৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে পাঁচ জন আহত হয়।  আহতরা হচ্ছেন, রাশেদ কাউন্সিলার, সাংবাদিক মিলন খান, শ্রমিক ইদ্রিস আলি, আরাফাত আলি, পুলিশ কনস্টেবল শাখাওয়াত, মেজবা।
এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে পাসপোর্ট যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এতে প্রায় এক ঘণ্টা যাত্রী পারাপার ও আমদানি রপ্তানি বন্ধ ছিল। বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপরে ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুদ্দিন সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাশেদ কাউন্সিলারের নেতৃত্বে বন্দর শ্রমিকরা চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। শ্রমিকদের হামলায় অন্তত ৫জন পুলিশ আহত হয়েছেন। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায়  ঘটনাস্থল থেকে কাউন্সিলর রাশেদসহ ৭ জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ওসি অপূর্ব হাসান ও শার্শা থানার ওসি ইনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে আটক রাশেদকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য  রাশেদের লোকজন বেনাপোল বন্দর এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে  রেখেছে। বন্দর থেকে কোন মালামাল লোড-আনলোড হচ্ছে না। দু’দেশের মধ্যে আমদানী-রপ্তানী বানিজ্য বন্ধ রয়েছে। বেনাপোল-যশোর সড়কে সকল প্রকার যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি  নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য বেনাপোলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top