সকল মেনু

পশু জবাইয়ের জন্য ২ হাজার ৯৩৬ টি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে -এলজিআরডি মন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমরা নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানীর পশু জবাইয়ের বিষয়টি একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে চেষ্টা করছি। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। দেশের ১১টি সিটি কর্পোরেশনে মোট ২ হাজার ৯৩৬ টি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। পশু কোরবানীর জন্য এ সংখ্যা যথেষ্ট। তারপরেও অনেকে যদি সেই জায়গায় না আসে সেক্ষেত্রে আমি মেয়রদের অনুরোধ করবো আপনারা যথেষ্টভাবে প্রচার প্রচারণা করুন। যাতে করে মানুষ নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করতে আসে। নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করতে আসতেই হবে। আর কোন রকম খোলা স্থানে কোরবানী করাকে আমরা মোটেই উৎসাহিত করি না।

মন্ত্রী আজ বিকেলে সচিবালয়স্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসহ সারাদেশে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানীর পশু জবাই এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণকল্পে কর্মপরিকল্পনা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন।সভায় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ সাঈদ খোকন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভিসহ দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে পাড়ায় পাড়ায় যথেষ্ট লোক নিয়োগ করে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানী নিশ্চিত করতে হবে। কাউন্সিলরদের মাধ্যমে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি নিশ্চিত করে সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের প্রতি মন্ত্রী আহ্বান জানান।মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আস্তে আস্তে এ উদ্যোগের সাথে মানুষকে অভ্যস্ত করা যায় তাহলে পরে আমাদের আর সমস্যা হবে না। নাগরিক অস্বস্থি যাতে সৃষ্টি না হয় এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাড়ীতে যদি কেউ কোরবানী করে তাহলে তাদের তো আর জোড় করার বিষয় নেই। তবে সেখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যাতে কোনকরম পরিচ্ছন্নতার অভাববোধ যেন এলাকাবাসি না করে। নিজেরা কোরবানী করে যদি নিজেরা পরিষ্কার করে ফেলেন তাহলে আমাদের কোন সমস্যা নেই।সভায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভি বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে পশু কোরবানীর জন্য ১৮৩ টি স্থান নির্ধারণ করেছি। গেল দুই বছর আগে যখন আমরা এ নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানীর আহ্বান জানাই সেই বছর খুব বেশি সাড়া মেলেনি। তবে গেল বছর বেশ সাড়া মিলেছে। আমরা আশা করি এবছর জনগণ নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ সাঈদ খোকন বলেন, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানীর বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। আমরা গতবছর নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। এ সময়ের মধ্যে কোরবনাীর বর্জ্য পরিস্কার করতে হবে। সেটা আমরা করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এবছরও আমরা সর্বোতভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা আমাদের শহরকে পরিস্কার রাখতে সক্ষম হবো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top