সকল মেনু

তারাই দোষী হিসাবে সাব্যস্ত হবেন : সেতুমন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক: একরামুল হক আওয়ামী লীগেরই লোক বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘একরামের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমিও বলেছি। যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় একরাম নির্দোষ, ওখানে যারা তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন, তারাই দোষী হিসাবে সাব্যস্ত হবেন। তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে।’ রবিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের প্যাকেজ ৭- এর চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় কি র‌্যাবের বড় অফিসাররা বাদ গেছে? তাদের ফাঁসির অর্ডারও হয়েছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে অভিযোগ আর নালিশের, আর কোনও সম্বল নেই। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যে ভুল করেছে, তার খেসারত দিচ্ছে, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাদের সামনে শুধু হতাশা। এ হতাশা থেকেই আবল-তাবল বলছে। যখন এ অভিযানে (মাদকবিরোধী) জনগণের প্রশংসা কুড়াচ্ছে, জনগণ খুশি। এ অভিযানে সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। স্বাভাবিক কারণেই বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। সরকারের ভালো কাজে জনপ্রিয়তা বাড়ছে, তা তারা সইতে পারছে না। হজম করতে পারছে না। তাই বিএনপি এ অভিযানের বিরুদ্ধে যা খুশি তা বলে বেড়াচ্ছে।’

চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ক্রসফায়ারকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে বুদ্ধিজীবীরা দেওয়া বিবৃতি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা তাদের বিবৃতি দিতেই পারেন, সমালোচনা করার অধিকার সবারই রয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করছি, মাদকবিরোধী অভিযান সর্বাত্মক রূপ নিয়েছে। দেশের জনগণ খুশি। কারণ, দেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংস করছে যে মাদক, তা থেকে তাদের (তরুণ) রক্ষা করার জন্য এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। কাজেই সমালোচকরা সমালোচনা করুক। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি দেশের জনগণ ও ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে। কারণ, তরুণরাই হচ্ছে দেশের ভবিষ্যৎ, তারা ধ্বংস হলে দেশের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা অভিযান দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে চালিয়ে যাচ্ছি।’

ঈদের পরে দেশব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু হবে বলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান তো চলছেই। দুদককে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতিবাজ রাঘববোয়াল হোক, চুনোপুঁটি হোক তাকে ধরার জন্য জাল বিছানো হয়েছে। দুদককে স্বাধীনতা দেওয়ার কারণেই আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যদের তলব করা হচ্ছে। কাজেই দুদকের স্বাধীনতা আছে। তা কাজে লাগাবে বলে আমরা আশা করছি।’

চলমান মাদকবিরোধী অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ আছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কোনও চাপের কাছে নতিস্বীকার করবো না। জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণের অধিকার রয়েছে, তা তারা করুক। আমাদের বিদেশি কোনও বন্ধু পর্যবেক্ষণ করতে চাইলে করুক। কারও চাপের কাছে আমরা নতিস্বীকার করবো না, নতিস্বীকার করবো বাংলাদেশের জনগণের চাপে। যতদিন প্রয়োজন হয়, অভিযান চলবে।’ যতক্ষণ না সর্বনাশা মাদকের ছোবলকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলেও তিনি জানান।

মাদকের গডফাদারদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সহায়তা করছে সরকার—বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিতেও আছে কিনা, তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। বদির মতো আর কত বদি এ দেশে আছে? বদি মাদকের গডফাদার, এটা আপনি সরাসরি বলতে পারেন, প্রমাণ কী? প্রমাণ করুন। প্রমাণিত হলে বদিকেও ছাড় দেওয়া হবে না।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top