সকল মেনু

এখন থেকে ২০৪১ পর্যন্ত উন্নয়ন পরিকল্পনার কাজও শুরু হয়ে গেছে

হটনিউজ ডেস্ক: এখন থেকে বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়াবে, বিশ্বে মর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে চলবে। এ লক্ষ্য নিয়ে ২০২১- ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ কী রকম হবে, সেই উন্নয়ন পরিকল্পনাও নির্ধারণ করা শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে কী রকম দেখতে চাই, কী রকম উন্নতি করতে চাই সে পরিকল্পনা আমরা ইতোমধ্যেই নির্ধারণ করতে শুরু করেছি। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, যুদ্ধাপরাধী, খুনি, জাতির পিতার হত্যকারীদের যারা পুরস্কৃত করেছে, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হোক যারা চায় না, তারা যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে।

শনিবার (২৮ এপ্রিল) অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তৃতা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার অস্ট্রেলিয়া সফরের দ্বিতীয় দিন রাতে সোফিটেল সিডনি ওয়েন্টওর্থ হোটেলে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের চেষ্টাই হচ্ছে বাংলাদেশটাকে উন্নত করা। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াবো। বিশ্বে মর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে চলবো। ২০২১ সালেরই আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে যাবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর ২০৪১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হবে, আমরা সে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। বিএনপি পাঁচ বছর মেয়াদী কোনো পরিকল্পনা নিতো না। ২০০৮ সালে আমরা আবার ক্ষমতায় এসে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে বাস্তবায়ন করেছি। এখন সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কাজ চলছে।

‘২০১১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কী করবো তার জন্য প্রেক্ষিত পরিকল্পনাটাও প্রণয়ন করেছি। আমরা এখন থেকে শুরু করেছি ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে কী রকম দেখতে চাই, কী রকম উন্নত করতে চাই, আমরা সে পরিকল্পনার কাজ শুরু করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে যেন উন্নত দেশ হয়, তার ব্যবস্থা, পরিকল্পনা ও নীতি-নির্ধারণ ইতোমধ্যেই করে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এভাবে পরিকল্পনা করে কাজ করছি বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশটাকে একটা জায়গায় নিয়ে আসতে পেরেছি।’

মহান মুক্তিযুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা বলয়ের দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াই প্রথম ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে অস্ট্রেলিয়া সহযোগিতা দিয়েছিলো।শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি প্রদেশকে দেশে পরিণত করতে যা যা করার দরকার করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করে। বঙ্গবন্ধুর খুনি, যুদ্ধাপরাধীদের পুরস্কৃত করে।

সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনীর অফিসারদের ওপর, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালায়। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে যা করেছিলো খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় এসে সেটা করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top