সকল মেনু

২০২০ সালের মধ্যে দু’টি টার্মিনাল চালু হবে-নৌপরিবহন মন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক: দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা বন্দরের মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষন ড্রেজিং এর কাজ বাস্তবায়ন করবে যৌথ কোম্পানি। এ লক্ষ্যে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বেলজিয়াম ভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি ‘‘জান ডি নুল’’ (ঔধহ উব ঘঁষ) একটি যৌথ কোম্পানি গঠন করবে। আজ রাজধানীর স্থানীয় এক হোটেলে যৌথ কোম্পানি গঠন সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর জাহাঙ্গীর আলম এবং জান ডি নুল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জান পিটার ডি নুল(ঔধহ চরঃবৎ উব ঘঁষ)। চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী শাহজাহান খান, এমপি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মাহবুবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, দিল্লীস্থ বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত জান লুইক্স (ঔধহ খুঁশী)।

৩৬.৫ নটিকেল মাইল চ্যানেলের প্রথম পর্যায়ে টার্নিং বেসিনে ৯ মিটার এবং টার্মিনাল এলাকায় ১১মিটার গভীরতায় ড্রেজিংএর জন্য প্রাক্কলিত প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩২.৪৩ মিলিয়ন ইউরো। সার্বিকভাবে চ্যানেলের প্রশস্ততা হবে টার্নিং বেসিনে ১২৫ মিটার এবং টার্মিনাল এলাকায় ৪০০ মিটার। প্রথম পর্যায়ের ড্রেজিং শেষে ১১ মিটার গভীরতার জাহাজ মূল বন্দরে প্রবেশে সক্ষম হবে। ভবিষ্যত ড্রেজিং এর মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২ মিটার এবং তৃতীয় পর্যায়ে ১৪ মিটার গভীরতার জাহাজ মূল বন্দরে প্রবেশের ব্যবস্থা হরা হবে।

কোম্পানি গঠনের শেয়ার হবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৫১% এবং ঔধহ উব ঘঁষ এর ৪৯%। প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর। প্রাক্কলিত ইক্যুইটি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ৫৪.৩১ মিলিয়ন ইউরো, জে ডি এন ৫২.১৮মিলিয়ন ইউরো।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালি জেলার কলাপাড়া উপজেলায় লালুয়া ইউনিয়নে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে পায়রা বন্দরের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট পায়রা বন্দরের বহিঃনোঙ্গর থেকে পণ্য খালাসের মাধ্যমে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

২০১৬ সালের ২৫ মে ঢাকায় পায়রা সমুদ্র বন্দরের মুল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষন ড্রেজিং এর জন্য “পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ” ও বেলজিয়াম ভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানী ‘‘জান ডি নুল’’ (ঔধহ উব ঘঁষ) এর মাঝে একটি সমঝোতা স্মারকপত্র স্বাক্ষরিত হয়।

শাজাহান খান বলেন, পায়রা বন্দরের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ১৯টি কম্পোনেন্টের সব কয়টির উন্নয়ন কার্যক্রম একই সাথে গ্রহণ করা জরুরি। এলক্ষ্যে ড্রেজিং কার্যক্রম সম্পন্ন হলে পায়রা বন্দর সংশিষ্ট সকল প্রকল্পের উন্নয়ন কার্যক্রম বেগবান হবে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ড্রেজিং কোম্পানী ঔধহ উব ঘঁষ এর মাধ্যমে ড্রেজিং কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ি সম্প্রদায় এবং বিনিয়োগকারিদের মধ্যে আস্থা তৈরি করবে।

মন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে পায়রা বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে ১১টি জাহাজ বহি:নোঙ্গরে এসেছে। এতে সরকারের রাজস্ব এসেছে ১৮ কোটি টাকা; আর পায়রা বন্দর আয় করেছে এক কোটি ৮৮ লাখ টাকা। তিনি বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে পায়রা বন্দরে একটি কয়লা/বাল্ক টার্মিনাল ও একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল চালু হবে।
***
ছবির ক্যাপশানঃ পায়রা বন্দরের মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর লক্ষ্যে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বেলজিয়াম ভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি ‘‘জান ডি নুল’’ (ঔধহ উব ঘঁষ) আজ রাজধানীর স্থানীয় এক হোটেলে যৌথ কোম্পানি গঠন সংক্রান্ত চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর জাহাঙ্গীর আলম এবং জান ডি নুল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জান পিটার ডি নুল(ঔধহ চরঃবৎ উব ঘঁষ)। চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী শাহজাহান খান, এমপি উপস্থিত ছিলেন ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top