সকল মেনু

সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ১ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ১ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। দেশ বরেন্য এ লেখক ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ৮২ বছর বয়সে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার ইচ্ছানুযায়ী জন্ম শহর কুড়িগ্রামের সরকারী কলেজ মাঠে গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। কলেজ চত্বরে কবির সমাধীকে ঘিরে স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মান করে তার সকল সাহিত্য কর্ম সংরক্ষন করার দাবী এ জেলার মানুষের।
১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম শহরের থানা পাড়ায় জন্ম গ্রহন করেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। হোমিও চিকিৎসক সৈয়দ সিদ্দিক হোসেন ও মাতা নুর জাহানের ৫ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। ধরলা নদীর পাড়ে শৈশব কাটানো এ কবি শহরের রিভার ভিউ হাই স্কুলে নবম শ্রেনী পর্যন্ত পড়ালেখার পর পাড়ি জমান ঢাকায়। সেখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি মনোযোগী হন লেখালেখিতে। একে একে তার পদচারনা হতে থাকে গল্প, কবিতা, গান ও নাটকসহ সাহিত্যের সকল অঙ্গনে। তার লেখায় ফুটে ওঠে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনসহ সাধারন মানুষের কথা। রচনা করেন নাটক নুরুলদীনের সারা জীবন, পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়সহ হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুসের মত জনপ্রিয় গান। গুনী এ লেখক তার সাহিত্য কর্মের মধ্য দিয়েই বেঁচে থাকবেন মানুষের মাঝে। এখন অপেক্ষা সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় তার স্মৃতি ধরে রাখা। কলেজ চত্বরে কবির সমাধীকে ঘিরে স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মান করে তার সকল সাহিত্য কর্ম সংরক্ষন করার দাবী জানিয়েছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কুড়িগ্রাম।
সংস্কৃতি কর্মী দুলাল বোস, ইমতে আহসান শিলু সব্যসাচী এ লেখককে তার জন্ম শহর কুড়িগ্রামের কলেজ মাঠে সমাহিত করায় গর্ব বোধ করেন। কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ, মির্জা নাসির উদ্দিন বলেন, কবির সমাধিকে ঘিরে স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মিত হলে বহুমাত্রিক এ লেখককের সাহিত্য চিন্তা সমৃদ্ধ করবে কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজের শিক্ষার্থীসহ দেশের সকল সাহিত্য অনুরাগীদের।
সম্প্রতি কবির সমাধি স্থল পরিদর্শন করে সমাধী ঘিরে এক একর জমির উপর সৈয়দ শামসুল হক স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মানের সরকারী সিদ্ধান্তের কথা জানান সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর।
সৈয়দ হকের প্রথম মৃত্যু বাষিকী উপলক্ষ্যে কুড়িগ্রামে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও জেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচীর আয়োজন করেছে।
গুনী এ লেখকের সকল সৃষ্টি তরুন প্রজন্মসহ সকল মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে তার সমাধীকে ঘিরে দ্রুত স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মান করবে সরকার, এমনটাই চাওয়া তার জন্মশহর কুড়িগ্রামের মানুষের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top