সকল মেনু

এবার হারের ক্ষোভে পুড়লো কোহলিদের পোস্টার, টেলিভিশন ভাংচুর!

ক্রীড়া ডেস্ক : চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে হার মানেই যেখানে রীতিমত অসম্মানের বিষয় সেখানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচটাই হারল ভারত, তাও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য গণনার বাইরে থাকা নিজ দেশেই সমালোচিত বর্তমান পাকিস্তান দলের কাছে। এ পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না ভারতীয় সমর্থকরা। নানা ধরণের ট্রল করে পাকিস্তানের মিডিয়া এ পরাজয়কে যেন আরো উস্কে দিয়েছে তাদেরকে।

চ্যাম্পিয়ান্স ট্রপির ফাইনালে ভারতকে ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারার পর রাগে ক্ষোভে ফুঁসছে ভারতের সমর্থক। কানপুরে খেলার শেষ হওয়ার সাথে রাস্তায় ভীড় করে সমর্থকরা। এ সময় তারা বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে এবং ভারতীয় খেলোয়াড়দের পোস্টারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তারা ভারতের ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে শ্লোগাণ দেয়।

এক সমর্থক বিমর্ষ হয়ে বলেন, আইসিসির বড় কোন আসরে ভারত কখনোই পাকিস্তানের কাছে হারেনি। তাই শুরুতে উইকেট পড়তে থাকলেও শেষ আশা হারায়নি সমর্থকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরাজয় তাদের সকল আশাভঙ্গ করে দিয়েছে। সমর্থকরা বলছে, ‘অন্য কোন দলের কাছে এ হার মেনে নিতে পারা যেত কিন্তু পাকিস্তানের কাছে হারায় আমরা হতাশ।’

নিজ দেশের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে রাগে দমাতে না পেরে দক্ষিণ কানপুরের কয়েকটি জায়গায় টেলিভিশন সেট ভেঙ্গে ফেলেছে তারা। বিরাট কোহলিদের পোস্টার পোড়ানোও হয়েছে এসময়। আগের তিনদিন ধরে ভারতের সমর্থকরা অপেক্ষা করছিল টানা দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ান হবার। জয়ী হয়ে আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠার জন্য নিয়েছিল নানা ধরণের প্রস্তুতি। কিন্তু এ হারের পর তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

আরেকজন সমর্থক টস জেতা নিয়ে সমালোচনা করে বলছেন, ‘ভারতীয় দল তো টসে জিতেছিল, তারা কেন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়নি।’

তিনি আরো বলেন,”৩০০ এর বেশি রান তাড়া করে জেতা কঠিন কিন্তু আমাদের ব্যাটিং অর্ডার তো শক্তিশালী ছিল। কোহলি কেন শুরুতে ব্যাটে নেমে সে চ্যালেঞ্জ নেয়নি, তখন পাকিস্তানকে চাপের মুখে রাখা যেত।”

প্রসঙ্গত, রবিবার ওভালে চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তান ৪ উইকেটে করে ৩৩৮। জবাবে মাত্র ৩০.৩ ওভারে ১৫৮ রানে অল আউট ভারত, ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হার। সেইসাথে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের সামনে ছিল টানা দ্বিতীয় বারের মত ট্রফি জেতার সম্ভাবনা। আরো ছিল প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির তিন শিরোপা জিতে নতুন রেকর্ড গড়ার সুযোগ। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে চিরশত্রু এবং খেলার মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান তাদেরকে হারিয়ে প্রথমবারের মত নিজেদের ঘরে তুলে নেয় চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top