সকল মেনু

কৃষিতে ভর্তুকি বন্ধ, হতাশ মাগুরার কৃষকরা মাগুরা প্রতিনিধি, ২৯ সেপ্টেম্বর: কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখার নির্বাচনী অঙ্গিকার থাকলেও গত দুই বছর ধরে কৃষক পর্যায়ে ডিজেলসহ সকল প্রকার ভর্তুকি বন্ধ রেখেছে সরকার। দফায় দফায় ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের দাম বাড়ালেও সেচে ব্যবহৃত ডিজেলসহ ভর্তুকি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে বোরো ধানের উৎপাদন খরচ বাড়বে। কিন্তু ধানের দাম সেই হারে না বাড়লে কৃষক ক্ষতির মুখে পড়বেন। এ নিয়ে ভর্তুকির জন্য তালিকাভুক্ত কার্ডধারী কৃষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। অন্যদিকে কৃষকদের ভর্তুকি প্রদানের জন্য ১০ টাকার বিনিময়ে সারা দেশে এ পর্যন্ত এক কোটিরও বেশি কৃষক ব্যাংক হিসাব খুলেছেন। ভর্তুকি প্রদান বন্ধ থাকায় এসব ব্যাংক হিসাব অলস পড়ে থাকায় কোনো কাজে আসছে না। সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকে খোলা এসব ১০ টাকার হিসাব কর্তৃপক্ষের কাছে এখন বোঝার উপর শাঁকের আটি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তার লক্ষ্যে সরকারের নির্বাচনী অঙ্গিকার হিসেবে ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো কৃষকদের সেচ খরচ ও কৃষি যন্ত্রাংশ কেনার ক্ষেত্রে শতকরা ২৫ ভাগ টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে লক্ষ্যে ‘কৃষি ভর্তুকি’ কর্মসূচির আওতায় প্রকৃত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে কৃষি উপকরণ সহায়ক কার্ড প্রদান করে সরকার। কর্মসূচির আওতায় সরকার ২০১০ সালে ৯১ লাখ ৬১ হাজার ৫শ’৯৪ জন বোরো চাষিকে সেচের জন্য ভর্তুকি হিসেবে মোট ৭৪৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা দিয়েছিল। এ ছাড়া এক কোটি ৮২ লাখ কৃষি পরিবারকে দিয়েছিল উপকরণ সহায়তা। ওই বছর প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ছিল ৪৬ টাকা। ২০১২ সালের শুরু থেকে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম হয় ৫১ টাকা। এ বছর তা ৬৮ টাকা। ওই বছর নিয়মানুযায়ী ১ একর ৪৯ শতক নিচে জমি চাষাবাদের জন্য ৮০০ টাকা এবং এর উপরে চাষাবাদের জন্য ১ হাজার টাকা ভর্তুকি প্রদান করা হয়। এর পর থেকেই কৃষিতে ভর্তুকি মূলত কাগজ-কলমে বন্ধ রয়েছে।

top