ঢাকা, ২ অক্টোবর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর ৮ দিনের সফর শেষে দেশের লন্ডন হয়ে আগামীকাল দেশে ফিরে এলে তাঁকে ব্যাপক গণসংবর্ধনা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মর্যাদাপূর্ণ ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ এ্যাওয়ার্ড’ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ গ্রহণ করার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ গণসংবর্ধনা দিচ্ছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্সের একটি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে আগামীকাল বেলা ১টা ৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
লন্ডন থেকে ঢাকা ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতি করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম টেলিফোনে বাসসকে জানান, এর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক থেকে লন্ডনে পৌঁছান।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা লন্ডনের স্থানীয় সময় রাত ৮টা ১০ মিনিটে হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
বাংলাদেশের পার্লামেন্টের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. আবদুল হান্নান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হোটেল ক্ল্যারিজে নিয়ে যাওয়া হয়। লন্ডনে সংক্ষিপ্ত সফরকালে তিনি সেখানে অবস্থান করবেন।
লন্ডনে একদিন যাত্রা বিরতি করার পর তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডন সময় রাত প্রায় ৮টা ৩৫ মিনিটে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা গত ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে তাঁর দেশের বিবৃতি পাঠ করেন।
প্রধানমন্ত্রী গত ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউনেপ) নির্বাহী পরিচালক আচিম স্টেইনারের কাছ থেকে মর্যাদাপূর্ণ ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ এ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেছেন।
শেখ হাসিনা গত ২৬ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) মহাসচিব হুলিন ঝাওয়ের কাছ থেকে ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ গ্রহণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ২৮ সেপ্টেম্বর অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সেদিন তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এবং রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্কে যোগদান ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বেশকিছু অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, এবং নেদারল্যান্ডের রাণী ম্যাক্সিমা সহ বেশ কিছু রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তৃতা করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী গত ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্কে পৌঁছেন।
এদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানোর জন্য আয়োজিত আগামীকালের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান সফল করার লক্ষ্যে শ্রেণী-পেশা নির্বিশেষে সকলকে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর জন্য আওয়ামী লীগ বিমান বন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত জাতীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুনসহ সড়কের দু’পাশে অবস্থান নেয়ার জন্য জনগণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।-বাসস
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।