সকল মেনু

সিলেটে নিহত কনফেকশনারি শ্রমিক রাজুর চাঁদপুরের বাড়িতে শোকের মাতম

 নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর: সিলেটে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া বিস্কুট তৈরির কারখানা শ্রমিক রায়হান রাব্বী ওরফে রাজুর (২০) গ্রামের বাড়ি হাজীগঞ্জে চলছে শোকের মাতম। ছোট এক ভাই, দুই বোন, বাবা ও মায়ের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে আকাশ বাতাস। মা রেনু বেগমের প্রলাপ যেন থামবার নয়। পাড়া প্রতিবেশীরা সান্ত্বনা দিতে এসে যোগ দিচ্ছেন কান্নার মিছিলে।
মা রেনু বেগম আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘আমার আদরের সন্তানকে মারলো কে? রাজুরে ফিরাইয়া দে, আমি বিচার চাই খুনির।’
রাজু হাজীগঞ্জ উপজেলার ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ধড্ডা পূর্বপাড়া চৌকিদার বাড়ির হারুনুর রশিদের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে রাজু দ্বিতীয়। রাজুর দুই বোনও রয়েছে।
জানা যায়, গত তিন মাস আগে রাজুকে সিলেটের খাদিমপাড়া বিসিক শিল্প নগরী এলাকার খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বনফুল কোম্পানীতে কাজে দেয় বড় ভাই মাসুদুর রহমান পারভেজ। গত ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা রাজুকে ছুরিকাঘাতে খুন করে। এ সময় শরীয়তপুরের দামড়া ধনই গ্রামের মৃত হাসু ডাক্তারের ছেলে তাবু মিয়াও (২৮) খুন হয়। এ হামলায় আরও এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাবা হারুনুর রশিদ বলেন, ‘১০/১২ দিন আগে ছেলের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমার রাজুকে বিনা অপরাধে যারা মেরেছে, তাদের বিচার চাই।
প্রসঙ্গত, ৬ জানুয়ারি সকালে শাহ্পরান থানাধীন পরগণা বাজারে আহত রাসেল বিসিকের কয়েকজন কর্মচারীসহ ফুটবল খেলতে যায়। ওই দিন খেলা নিয়ে এক যুবকের সঙ্গে মারামারি হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যারাতে হামলাকারীরা তার ঘাড়ে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার দুই সহকর্মী ছুরিকাঘাতের শিকার হন। এতে তাদের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত রাজুর ভাই মাসুদুর রহমান পারভেজ বাদী হয়ে ১০-১২জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খাদিমপাড়া এলাকার রকি, পঙ্খী ও জামাল নামের তিনজনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top